টোকিও: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কির (Vlodymyr Zelensky) সঙ্গে কথা বললেন। রাশিয়ার (Russia) ইউক্রেন অভিযানের পর এই প্রথম ভারতের প্রধামন্ত্রীর সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সামনা সামনি হল। শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী জাপানে (Japan) পৌঁছেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় হিরোশিমাতে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক হয়েছে। তবে সেই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেই বিষয়ে জানা যায়নি।
ওই বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো ও ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারত ও ইউক্রেনের শীর্ষ স্তরের কূটনৈতিকদের বৈঠকের পর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক চূড়ান্ত হয়েছিল। এর আগে একাধিকবার ফোনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টর সঙ্গে কথা হলেও মুখোমুখি এই প্রথম দেখা হল নরেন্দ্র মোদির। প্রধানমন্ত্রী জাপান থেকে যাবেন পাপুয়া নিউ গিনি ও অস্ট্রেলিয়া। জাপানের আমন্ত্রণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কিও সেখানে এসেছেন। গত বছর ৪ অক্টোবর রাশিয়া ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে মোদি বলেছিলেন, মিলিটারি দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। ভারত প্রস্তুত যে কোনও শান্তি প্রচেষ্টায়।
আরও পড়ুন: BJP | Satyapal | বাংলার ভোটে ট্রাকে করে টাকা এনেছিল বিজেপি, ফের বিস্ফোরক সত্যপাল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরে সেসময় জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। মোদিকে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন জি ২০-এর (G 20) সভাপতিত্ব সাফল্যের সঙ্গে করার জন্যে। মোদি এবং জেলেনস্কির মধ্যে কথোপকথনের পরে ভারতের (India) পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, জেলেনস্কির সঙ্গে মোদির কথোপকথন হয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার জন্যে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে ভারত (India) ইউক্রেনে রাশিয়ার (Russia) আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও নিন্দা করেনি। প্রসঙ্গত, রাশিয়ার থেকে তেল কেনার নিরিখে চিনের (China) পরেই ভারতের স্থান।উল্লেখ্য, জি সেভেন যে দেশগুলির বৈঠক হচ্ছে সেগুলি হল, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, কানাডা ও জাপান। সেখানে ভারত সহ আরও সাতটি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।