নয়াদিল্লি: সোনা (Gold) শুধুমাত্র অলঙ্কার নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা। এদেশের মানুষ সোনা কিনে রাখেন, অসময়ে তা বন্ধক রেখে ঋণ নেন কিংবা বিক্রিও করেন। ভারত সরকার (Government of India) সম্প্রতি এমন এক নিয়ম জারি করেছে যার ফলে সোনা কেনাবেচার ছবিটাই বদলে গিয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে চালু এই নিয়ম বলছে, গয়না কিংবা যে কোনও প্রকারের সোনাতেই হলমার্ক ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর সংক্ষেপে HUID। এছাড়া সোনার দ্রব্যে থাকতে হবে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস-এর লোগো (BIS) এবং খাঁটি হওয়ার চিহ্ন (যেমন ২২ ক্যারাট কিংবা ১৮ ক্যারাট)। এতে প্রত্যেকটি স্বর্ণসামগ্রীর হিসেব থাকবে আলাদা করে।
ভারতের (India) মতো দেশ, যেখানে মানুষ ভবিষ্যতের কথা ভেবে সোনা কেনে, সেখানে এই নতুন নিয়ম স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা আনবে বলেই আশা করা হচ্ছে। সোনার অলঙ্কার কিংবা শিল্পদ্রব্য কেনার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস পাবেন গ্রাহকরা। সোনার গয়না ক্রয় করা এখন আরও নিরাপদ এবং স্বচ্ছ হয়ে উঠল।
আরও পড়ুন: Share Market | বৃহস্পতিবার সামান্য পতন বাজারে, সেনসেক্স পৌঁছল ৬১ হাজাারের নীচে
তবে, আপনার কাছে যদি হলমার্ক না দেওয়া সোনা থাকে তবে তা বিক্রি করতে পারবেন না। ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (BIS) জানাচ্ছে, বিক্রি বা এক্সচেঞ্জ করার আগে আপনাকে সেই স্বর্ণদ্রব্যের হলমার্ক করাতে হবে এবং এই হলমার্ক করানো বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে দুটো রাস্তা রয়েছে। এক, বিআইএস অনুমোদিত কোনও জুয়েলারের কাছে আপনার সোনার হলমার্ক করাতে পারেন, সেই জুয়েলার বিআইএস-এর পরীক্ষা ও গুণমান যাচাই কেন্দ্রে নিয়ে যাবে। প্রত্যেক স্বর্ণদ্রব্যের গুণমান যাচাই করতে ন্যূনতম ৪৫ টাকা খরচ হবে।
দুই, জুয়েলারের কাছে না গিয়ে যে কেউ নিজেই বিআইএস-এর পরীক্ষা ও গুণমান যাচাই কেন্দ্রে চলে যেতে পারেন এবং পরীক্ষা করাতে পারেন। পাঁচটি বা তার বেশি স্বর্ণদ্রব্যের ক্ষেত্রে ৪৫ টাকা করে দিতে হবে। আর চারটি হলে ন্যূনতম ২০০ টাকা দিতে হবে। খরচ দুই ক্ষেত্রেই মোটামুটি সমান। গুণমান যাচাই হওয়ার পর যে কোনও অলঙ্কারের দোকানে বিক্রি বা অন্য কাজে সোনা নিয়ে যাওয়া যাবে। নতুন নিয়মে এও বলা হয়েছে, আগে থেকেই হলমার্ক করানো থাকলে যথেষ্ট, নতুন করে করাতে হবে না।