নয়াদিল্লি: মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ কেড়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। যা নিয়ে সরগরম ছিল সংসদ। সেই কীর্তির কারণে সাসপেন্ড করে দেওয়া হল তৃণমূল সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেনকে। শুক্রবার সকালে অধিবেশন শুরুর সময়ে ওই সাংসদকে কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।
আরও পড়ুন- পেগাসাস নিয়ে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ বিরোধীদের
এদিন সকালেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির একাধিক সাংসদ। শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে বেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে যান রাজ্যসভায় বিজেপির লিডার পীযুষ গোয়েল, ডেপুটি লিডার মুখতার আব্বাস নাকভি এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ভি মুরলীধরণ।
আরও পড়ুন- সংসদে বিরোধীদের মোকাবিলা করতে সরকারের হাতিয়ার শান্তনু
এরপরে অধিবেশনের শুরুতেই তৃণমূল সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি জানিয়ে দেন যে গোটা বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হল তৃণমূলের ওই সাংসদকে। এই ঘোষণার পরেই বিক্ষোভ শুরু করে দেন তৃণমূলের সাংসদেরা। সংসদ কক্ষে প্রবেশ করতে গেলে তাঁকে বাধা দেন মার্শালরা।
আরও পড়ুন- মানসিক ভারসাম্যহীন অন্তঃসত্ত্বাকে হাসপাতালে পাঠালেন বিডিও
পেগাসাস নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভ ছিলই। তার মাঝেই সাংসদকে সাসপেন্ড করা নিয়ে বিক্ষোভে আরও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। যার জেরে মুলতুবি করে দেওয়া হয় রাজ্যসভার অধিবেশন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে অধিবেশন। ওই সময়ের পরে ফের অধিবেশন শুরু হলে বিরোধীরা কি অবস্থান নেবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন- রুমানা মুসলিম বলে কি কোনও অঘটন ঘটেছে, প্রশ্ন অধীরের
বৃহস্পতিবার সংসদের উচ্চকক্ষের বাইরে বাদানুবাদে জড়িয়ে যান তৃণমূল সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হারদীপ সিং পুরি। সেই সময়ে অপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের হাতে পেগাসাস কেলেঙ্কারি সম্পর্কিত কাগজ ছিল। সেই পেগাসাস রিপোর্টের কাগজ মন্ত্রীর হাত থেকে কেড়ে নেন সাংসদ শান্তনু। শুধু তাই নয়, কেড়ে নিয়েই সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার ওই সাংসদ।
আরও পড়ুন- নাশকতার ছক ব্যর্থ, সেনার গুলিতে নামল বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোন
ওই দিন বিকেলের দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সমগ্র ঘটনা ব্যাখ্যা করেন তৃণমুলের সাংসদেরা। সেই সময়ে ডাঃ শান্তনু সেন বলেন, “অধিবেশনের শেষে আমায় ডেকেছিলেন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। আমি গেলে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। অত্যন্ত কুরুচিকর ভাষায় হুমকি দেওয়া শুরু হয়। শারীরিক হেনস্থার চেষ্টাও হয়। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।”