কম খরচের আর সময়ের মধ্যে দূরে পৌঁছে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে সাশ্রয়কারী বিকল্প ট্রেন। দেশবাসীর কথা মাথায় রেখে তাই দিনের পর দিন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আনছে ভারতীয় রেল। তার অন্যতম উদাহরণ হল ‘বন্দে ভারত’। এছাড়াও আপনি কি জানেন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক হিসাবে গণ্য করা হয় ভারতীয় রেলকে। কারণ প্রতিদিন প্রায় ক’য়েক কোটিও মানুষ যাতায়াত করে এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে। তবে ট্রেনের বগিতে বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা লেখা থাকে। এই প্রতিবেদনে মাধ্যমে আমরা জেনে নেব ট্রেনের গায়ে সেই ৫ সংখ্যা লেখার পেছনে বিশেষ কারণ কী?
প্রতিটি বগির বাইরে লেখা ৫ ডিজিটের নম্বরটি সেই ট্রেনটি তৈরি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দেয়। যেমন সেই বগিটি কখন, কীভাবে তৈরি হয়েছিল বা সেটি কোন ক্যাটাগরির ইত্যাদি। এই পাঁচ সংখ্যার মধ্যে প্রথম দুটি সংখ্যা ব্যাখ্যা করে সেই বগি কবে তৈরি। অর্থাৎ সাল। যেমন ধরুন কোনও বগির গায়ে লেখা ৯৯৩২৮, তখন বুঝতে হবে এই ট্রেনের বগিটি তৈরি হয়েছিল ১৯৯৯ সালে ( “৯৯” ৩২৮)। এবার পরে থাকা বাকি তিনটে সংখ্যা থেকে জানা যায় সেই কোচটি কোন শ্রেণীর মধ্যে পড়ছে। অর্থাৎ এটি বগির ক্যাটাগরি। এই শেষ তিনটি নম্বর দেখে বগির ক্যাটেগরি বা ক্লাস সম্পর্কে আপনি খুব সহজেই ধারণা করতে পারবেন এর জন্য আপনাকে আরও কয়েকটা বিষয় জানতে হবে।
আরও পড়ুন: Todays Horoscope | লক্ষ্মীবার আপনার কেমন কাটবে? দেখে নিন আজকের রাশিফল
রেকে ‘পরিষেবা সুবিধার ভিত্তিতে’ বগির ক্রমিক নম্বর বরাদ্দ করা হয়। সেখানে রেলের নিয়ম মাফিক পরিষেবা বা সুবিধার সংখ্যা কমলে ক্রমিক সংখ্যা বাড়াতে থাকে। যেমন ধরুন এসি ফার্স্ট ক্লাসের ক্রমিক ০০১-০২৫। সেরকমই দ্বিতীয় শ্রেণীর স্লিপার এর জন্য নির্ধারিত ক্রমিক সংখ্যা ২০১-৪০০। এভবেই ম্যান অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয় বগির বাকি তিনটি নম্বর। চলার এর সঙ্গেই জেনে নেওয়া যাক বাকি বগির ক্যাটাগরির ক্রমিক সংখ্যাগুলো ।