কলকাতা: কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) বিজেপি (BJP) তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। বুধবার নবান্নের (Nabanna) সভাঘরে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকের পর সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, কালিয়াগঞ্জের ঘটনা আত্মহত্যার ঘটনা। গতকাল যা হয়েছে, তা এতো সহজে নিলে চলবে না। পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলেছি। গুন্ডামি, জহ্লাদগিরি করেছে, পুলিশের মেয়েদের উপরও হামলা চালানো হয়েছে। বিজেপি কী করে বিহার থেকে লোক নিয়েসে থানা জ্বালিয়ে দেয়? সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলেও হঁশিয়ারি দেন মমতা।
এদিন তিনি আরও বলেন, মৃতদেহ এভাবে নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি, কিন্তু সেই সময় পাথর ছোড়া হচ্ছিল। এবার থেকে প্রত্যেক থানায় মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাগ দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এদিন মালদহে বন্দুক হাতে স্কুলে ঢুকে যায় এক ব্যক্তি। সেখানে পুলিশের বুদ্ধিমত্তার প্রশংসাও করেন মমতা। একইসঙ্গে এই ঘটনাকে চক্রান্তের অভিযোগও করেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, এটা পরিকল্পিত। এটা দিল্লির সমর্থনে করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এখনও উত্তপ্ত এলাকা। গতকাল রাজবংশী ও আদিবাসী মিছিলকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। কালিয়াগঞ্জ থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। প্রাণে বাঁচতে থানার পাশে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন কয়েকজন পুলিশকর্মী। তবে রেহাই পায়নি। প্রাণের ভয়ে খাটের নীচে লুকিয়ে থাকা পুলিশ কর্মীদের (police) টেনে বের করে চলে বেধড়ক মার। ভয়ঙ্কর এই ঘটনার সাক্ষী থাকল কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। ওই বাড়ির ভিতরে ঢুকে চলে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতিমতো ভাইরাল। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল।
ওই বাড়ির বাসিন্দারা জানান, জনতার তাড়া খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে তাঁদের বাড়ি ঢুকে পড়েছিলেন কয়েকজন পুলিশ কর্মী। তাঁরাও আশ্রয় দিয়েছিলেন। খাটের নীচে লুকিয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই কাতারে কাতারে লোক তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সারা ঘরে তাণ্ডব শুরু করে তারা। খাটের নীচ থেকে ওই পুলিশ কর্মীদের টেনে বের করে চলে বেধরক মার (police got beaten)। বারবার প্রাণভিক্ষার আর্জি জানানো হলেও কেউ কানে তোলেনি।
এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই বাড়ির বাসিন্দারা। তাণ্ডব চালানোর সময় তাঁদের বাড়িতে ওই দুষ্কৃতীরা লুঠপাট করে বলেও অভিযোগ। টাকা ও ঘরে থাকা বেশ কিছু গয়না নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আহত পুলিশকর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।