জলপাইগুড়ি: মৃত সমাজকর্মীর মেয়েকে হুমকি (Threatening) দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃত সমাজকর্মী সুবোধ (Social Worker Subodh Bhattacharya)ও অপর্ণা ভট্টাচার্যের মেয়ে তানিয়া (Tanya Bhattacharya) পুলিশ সুপারের কাছে যুব তৃণমূল সভাপতি তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের (Youth Trinamool president and vice chairman of the municipality Saikat Chattopadhyay) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। তানিয়া ভট্টাচার্য অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানায় পুলিশ সুপারকে। এসপিকে লেখা চিঠিতে তানিয়া বক্তব্য, যাদের মানসিক অত্যাচারে বাবা-মা আত্মহত্যা করেছেন তাদের মধ্যে সৈকত হলেন অন্যতম। এছাড়া আরও কয়েকজন তৃণমূল নেতার নামও তিনি চিঠিতে জানিয়েছেন। সৈকত অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিজেপি তানিয়াকে দিয়ে এসব অভিযোগ করাচ্ছে।
গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা সমাজকর্মী সুবোধ ভট্টাচার্য ও অপর্ণা ভট্টাচার্য কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন নিজের বাড়িতে।পুলিশ বাড়ি থেকে চার পাতার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে৷ সেই নোটে ওই দম্পতি তাঁদের মৃত্যুর জন্য জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত ও পুরসভার ১৪ ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ সহ আরও দুই ব্যক্তিকে দায়ি করেন।
আরও পড়ুন:Twitter User Fools ChatGPT | মানুষের কথার ফাঁদে পা দিয়েছে চ্যাটজিপিটি, প্রকাশ্যে মস্ত বড় ভুল
ওই সুইসাইড নোটে সুবোধ ও অপর্ণা লিখেছিলেন, সৈকত চ্যাটার্জি সহ অন্যান্যদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তাঁরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েচ্ছে। এর পরেই মৃত সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি, ডাবগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় কোতোয়ালি থানায় সৈকত সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন৷ সুবোধ ভট্টাচার্য এক সময় জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যন ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকে থাকাকালীন। পরে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন।
ওই দম্পতির মেয়ে তানিয়া এতদিন চুপ থাকলেও এবার সৈকতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন জেলা পুলিশ সুপারের কাছে। শনিবার ক্যামেরার সামনে অবশ্য তিনি কারও নাম উল্লেখ করেনি। যদিও এসপিকে লিখিত অভিযোগে সৈকতদের নাম করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত বলেন, যে কোনও তদন্তকারী সংস্থা এই ঘটনার তদন্ত করতে পারে। আমি তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি। তাঁর দাবি, এইসব বিজেপির চক্রান্ত। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের বদনাম করার জন্য তানিয়াকে দিয়ে বিজেপি এসব করাচ্ছে। তবে তানিয়ার দাবি, তিনি কারও চাপে অভিযোগ করেননি। মৃত সুবোধের দিদি ও বিজেপি বিধায়ক শিখার দাবি, পুলিশ এখনও হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে।