তার বর্তমান পরিচয় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সার,স্পোর্টস ব্রডকাস্টার। আসলে তিনি পৃথিবীর একজন নামিদামি পর্নস্টার ছিলেন। তার বয়স ২৮ বছর। পর্ন ফিল্ম জগতের তিনি এখন প্রাক্তন। তার জন্ম লেবাননে। কিন্তু এখন তিনি মার্কিন নাগরিক। তিনি এ জগতের সবচেয়ে রোজগেরে পর্ন স্টার। নিজের নেট মাধ্যমে এখনও তিনি তার উষ্ণ ভিডিও অথবা ছবি শেয়ার করে থাকেন। আর সেজন্য হা-পিত্যেশ করে বসে থাকে নেটিজেনদের একাংশ। এই পর্নস্টারের নাম মিয়া খালিফা। সারা পৃথিবীতে তিনি পরিচিত। তিনি বিয়ে করেছিলেন বছর দুয়েক আগে রবার্ট স্যান্ডবার্গকে। সুইডেনের এই যুবক পেশায় শেফ। গতকাল মিয়া তাদের বিচ্ছেদের কথা শোনালেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিয়া লিখেছেন, ‘আমরা দুজনেই বেশ জোরের সঙ্গে বলতে পারি দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা আমরা দুজনেই করেছিলাম। কিন্তু তা কার্যকর হলো না। তবে এ কথা বলতে পারি আমরা একে অপরের খুব ভালো বন্ধু হয়ে থাকবো’।
এর আগে, ২০১১ সালে মিয়া খালিফা তার হাইস্কুল প্রেমিককে বিয়ে করেছিলেন।২০১৪ সালে তারা আলাদা হয়ে যান। ২০১৬ সালে তাদের ডিভোর্স হয়। তারপর শুরু করেন তিনি তার পর্ন কেরিয়ার। মধ্যপ্রাচ্যে তার যৌন দৃশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল নানান বিতর্ক। নিমেষেই তিনি এক নম্বর পর্ন তারকা শিরোপা অর্জন করেন।
চোখে চশমা। মুখে যুবতীর সারল্য। আপাতদৃষ্টিতে সাদামাঠা দেখতে হলেও গোটা দুনিয়ায় তাঁর পরিচিতি নীল ছবির তারকা হিসাবেই। নীল ছবিতে কাজের জন্য মিয়ার নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লেও, অনেকেই হয়ত জানেন না এই পেশা তিনি ছেড়েছেন বহু আগেই। মাত্র ৩ মাস নীল ছবির জগতে কাজ করেছেন মিয়া খলিফা। অল্প বয়েসে অনেক টাকা রোজগার, অজানা রঙিন জগতে হারিয়ে যাওয়ার হাতছানি থেকেই এই পেশায় আসেন তিনি। অথচ মোহভঙ্গ হয় মাত্র তিন মাসেই।তাঁর পর্ন ছবি করার কথা জানতে পেরেই তাঁকে ত্যাগ করেছেন মা-বাবা। সেই পর্ন ছেড়ে দেওয়ার পরেও আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সম্প্রতি সংবাদসংস্থা বিবিসি-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতার কথা খোলসা করছেন প্রাক্তন পর্ন তারকা মিয়া খলিফা।
২০১৫ সালে তিন মাস কাজ করার পরেই এই পর্ন ছবির জগৎ থেকে বেরিয়ে এসেছেন। অথচ হারানো সম্মান আর ফিরে পাননি মিয়া। পর্ন জগতের নীল আলো থেকে বেরিয়ে আজও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি তিনি। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন তছনছ হয়ে গিয়েছে। “আজও রাস্তাঘাটে লোকজনের মাঝে নিজেকে নিয়ে ভীষণ হীনমন্যতায় ভুগি”, এমনটা বললেন মধ্যপ্রাচ্যের আবেগপ্রবণ মিয়া।