নয়াদিল্লি: এইচথ্রিএনটু (H3N2) ভাইরাসে (Virus) মাত্র ৫ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এই ভারাস নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে। বলছেন চিকিৎসকরা। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এইচথ্রিএনটু ভাইরাস কী কোভিডের মতো সংক্রমিত হবে?। চিকিৎসকরা আশ্বস্ত করে বলছেন তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ডাক্তার অনুরাগ আগরওয়াল (Anurag Agrawal) সংবাদমাধ্যমে বলেন, তিনি মনে করছেন না ব্যাপক কোনও প্রভাব এতে পড়বে। সাধারণ পরিস্থিতিতে এটি প্রাণঘাতীও নয়। দেশে মার্চ মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৮টি (3,038 laboratory-confirmed cases) এইচথ্রিএনটু ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। অন্তত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে তা ধরা পড়েছে।
এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে দেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একজন কর্ণাটকে (Karnataka) ও একজনের হরিয়ানায় (Hariyana) মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালের ডাক্তার ধীরেন গুপ্ত বলেন, কোভিডে (Covid) দুবছর লকডাউন থাকায় শিশুদের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার (influenza) প্রভাব দেখা যায়নি। এই ভাইরাস সাধারণত প্রাণঘাতী নয়। হঠাৎ করে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে শিশুদের মধ্যে। এই ভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জার সাধারণ ভ্যারিয়ান্ট। শিশু এবং যাদের কো মর্বিডিটি আছে তাঁরা এই ইনফ্লুয়েঞ্জাতে বেশি করে আক্রান্ত হচ্ছেন। যদি কোমর্বিডিটি থাকে তাহলে চিন্তার বিষয়।
চিকৎসক তরুণ সাহানি জানিয়েছেন, এই রোগে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাধারণ বিষয় নয়। পাঁচ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। তাঁর মতে, কোভিডের সময় যেরকম সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। সেরকম সতর্ক থাকতে হবে। ভাইরোলজিস্ট উপাসনা রায় বলেন, প্যানিক করার দরকার নেই। তবে লকডাউন ও বেশি মাত্রায় মাস্কের ব্যবহার এতে ভালো ফল দেবে।
আরও পড়ুন: BC Roy Hospital | বি সি রায়ে শিশু মৃত্যু, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে উত্তেজনা
মানুষ সতর্ক হয়ে বেশি মাত্রায় হাসপাতালে যাচ্ছেন। এইচথ্রিএনটু এমন একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা যা শূকরের মধ্যে ছড়ায়। তবে মরশুমি যেসব ইনফ্লুয়েঞ্জা দেখা যায় জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে তা মার্চ মাসের পর থেকে দূর হয়ে যাবে। সরকারের তরফ থেকে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা এ (H1N1pdm09), ইনফ্লুয়েঞ্জা এ (H3N2) এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা বি (Victoria) ভারতে ধরা পড়েছে। সরকার জানিয়েছে, একটি বৃহৎ সংখ্যক রোগী জ্বর ও সর্দি হয়েছে ওই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রভাবে। ২৭ শতাংশের শ্বাসকষ্ট হয়েছে। ১৬ শতাংশের নিউমোনিয়া হয়। ১০ শতাংশ রোগীর অক্সিজেনের দরকার হয়েছে। ৭ শতাংশ রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।