নয়াদিল্লি: করোনা মোকাবিলায় কড়া বিধি নিষেধের পথে হেঁটেছে দেশের একাধিক রাজ্য। এরই মাঝে পরে গিয়েছে বকরি ঈদ। সেই উৎসবের কারণে তিন দিনের জন্য করোনা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় কেরল সরকার। অতিমারির মাঝে করোনা বিধিতে ছাড় দেওয়ার কারণে সুপ্রিম কোর্টে সমালোচনার মুখে পড়তে হল সিপিএম শাসিত কেরল সরকারকে।
শক্তি বাড়িয়ে ভারতের মাটিতে আছড়ে পড়েছিল করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। শুরুতে ওই ভাইরাসের মোকাবিলায় বিশেষ সাফল্য পেয়েছিল কেরল। যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রচার শুরু করে দিয়েছিল সিপিএম-র নেতাকর্মীরা। কিন্তু ওই ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বেসামাল কর দেয় দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্যকে। এরই মাঝে উৎসবের কারণে করোনা বিধিতে ছাড় দেওয়ার কারণে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
খুব স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। দেশের একমাত্র বাম সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান পি কে নাম্বিয়ার নামের এক ব্যক্তি। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই কেরল সরকারের সমালোচনা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। অতিমারির মাঝে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কেন করা হল সেই বিষয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে কেরল সরকারের কাছে।
কেরল সরকারকে উদ্দেশ্য করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আর এফ নরিম্যান ও বিচারপতি বি আর গাবাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ‘‘এই ধরনের সিদ্ধান্ত রাজ্যের পক্ষে উদ্বেগজনক। চাপ দিয়ে কোনও ঘোষণা করা উচিত নয়। মানুষের জীবন সব থেকে মূল্যবান। তাতে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। যদি এই বিধিনিষেধে ছাড়ের ফলে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটে, যদি সাধারণ মানুষ আমাদের কাছে সেই ঘটনা তুলে ধরেন, তা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
যদিও বিষয়টিতে কিছুই ভুল দেখছ না কেরল সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে বকরি ঈদে ব্যবসা ভাল হয়। তাই মানুষের অর্থনৈতিক দিকের কথা মাথায় রেখেই কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেরল সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে গত ১৫ জুন থেকে লকডাউনে যে ছাড় দেওয়া হয়েছে সেটাই জারি থাকছে।
সিপিএম নেতা ই করিম
ওই রাজ্যের সিপিএম নেতা ই করিম বলেছেন, “বকরি ঈদ কেবলমাত্র কোনও উৎসব বা অনুষ্ঠান নয়। ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য অনেকে করোনাকালে লড়াই করে চলেছেন। সেই সকল মানুষের স্বার্থেই কেরল সরকার ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এতে ভুল কিছুই নেই।”