বেঙ্গালুরু গোটা দেশের সঙ্গে ফ্লু (Flu) আতঙ্কে ভুগছে। সর্দি, কাশি, জ্বর এই সময় একটু লেগেই থাকে। কিন্তু অনেকের আবার ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ (Influenza – A), এইচ১এন১ (H1N1), এইচ৩এন২ (H3N2), ইনফ্লুষেঞ্জা-বি (Influenza – B), আরএসভি (RSV)-মতো গুরুতর অসুখের পাশাপাশি অ্যাডিনোভাইরাসজনিত (Adenovirus) সংক্রমণে ভুগছেন। তাই কোনও কিছু হলে নিজে ডাক্তারি ফলিয়ে ওষুধ না খেয়ে ডাক্তার দেখান। মরশুমি ফ্লু হোক কিংবা অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ, জ্বর-সর্দি-কাশির মতো লক্ষণ ও উপসর্গ (Sings and Symptoms) দেখা দিলেই ডাক্তার দেখান এবং সেই মতো ওষুধ খান ও টেস্ট করান (Take Medicines and Get Tested)।
সোমবার সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে মরশুমি ফ্লু (Seasonal Flu)’র হাত থেকে বাঁচতে নির্দেশিকা (Guidelines) জারি করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ওই নির্দেশিকা মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলে দেওয়া হয়েছে রোগনির্ণয় অর্থাৎ ডায়গনসিসের (Diagnosis) জন্য যথাযথবাবে নমুনা সংগ্রহ করতে হবে এবং সেই তথ্য আইডিএসপি-আইএইচআইপি পোর্টালে (IDSP – IHIP Portal) দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট ট্যাবলেটের স্টক থাকতে হবে। অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ (Antiviral Medicine) ওসেল্টামিভির (Oseltamivir) সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া, সমস্ত স্বাস্থ্য সেবা আধিকারিকদের ফেস মাস্ক ব্যবহারেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনাতা বৃদ্ধির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। সাধারণের উদ্দেশে বার্তা, নিজে ডাক্তারি ফলিয়ে ওষুধ না খেতে এবং অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করে জ্বর-সর্দি-কাশির মতো সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: Rajbhawan in Fasttrack Mode: ফাস্ট ট্র্যাক মোডে কাজ হচ্ছে, রাজভবন জানাল বিবৃতিতে
In the view of increasing cases of seasonal flu, guidelines have been issued by state health department to prevent and control the spread of viral infection.
I urge people to follow precautionary measures, visit doctor in case of any symptoms and strictly avoid self-medication. pic.twitter.com/LJyu9gVATE
— Dr Sudhakar K (@mla_sudhakar) March 6, 2023
সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন আইসিএমআর (Indian Council of Medical Research – ICMR) সূত্রেও মরশুমি জ্বর নিয়ে পরামর্শ দেওা হচ্ছে। দেশের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে দিল্লি ও রাজধানী অঞ্চলের পাশ্ববর্তী শহরগুলিও মরশুমি জ্বরে ভুগছে। এই ফ্লু হলো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের একটি ধরণ। সঙ্গে জ্বর হচ্ছে। সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ নিয়ে আসছে জ্বরটি। আইসিএমআর-এর বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই উপসর্গগুলি ইনফ্লুয়েঞ্জা এ সাবটাইপ এইচ৩এন২-এর জন্য দেখা দিচ্ছে। অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় এটি বেশি মারাত্মক এবং এর জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।
আমাদের সাধারণত অভ্যেস রয়েছে একটু বেশি জ্বর বাড়লেই, অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কিনে খেয়ে নেওয়া। সর্দি-কাশিতে নাজেহাল হলেই অনেকই দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ও প্যারাসিটামল ওষুধ কিনে খেয়ে নেন অনেকেই। কিন্তু তা এই ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে করা উচিত নয়। সম্প্রতি আইএমএ একটি নির্দেশিকা জারি করে চিকিৎসকদের পরামর্শ দিয়েছে, সর্দি-জ্বর হলেই রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক না দিতে।