আগরতলা: ঊনসত্তর বছরের মানিক সাহাই (Manik Saha) ত্রিপুরার (Tripura) পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) হতে চলেছেন। আগরতলায় বিজেপির বিধায়কদের বৈঠকে সোমবার ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ৮ মার্চ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের জন্য শপথ নেবেন (swearing-in-ceremony) তিনি। সেখানে হাজির থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিজেপির এক রাজ্য নেতা এদিন জানিয়েছেন সর্বসম্মতিক্রমে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে মানিক সাহা ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের (Pratima Bhowmick) নাম উঠে আসছিল।
কংগ্রেস নেতা আশিস কুমার সাহাকে ১২৫৭ ভোটে হারিয়ে টাউন বরদোয়ালি (Town Bordwali) কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মানিক সাহা। পেশায় দাঁতের ডাক্তার (Dental Surgeon)। ২০১৬ সালে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছিলেন। তার আগে তিনি হাপানিয়াতে অবস্থিত ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে (Tripura Medical College) অধ্যাপনা করতেন। উল্লেখ্য, বিপ্লব দেবকে (Biplab Dev) সরিয়ে কয়েক মাস আগে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। তার আগে তিনি ত্রিপুরায় বিজেপির সভাপতি ছিলেন। কিছু দিনের জন্য বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদও ছিলেন।
আরও পড়ুন: Madan Mitra: সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসের আঁতাতের কথা তুলে ধিক্কার মিছিল তৃণমূলের
এবার ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে বিজেপির জন্য টাফ ফাইট ধরা হয়েছিল। কংগ্রেস, সিপিএম জোট করে ভোটে লড়েছিল। তিপ্রামথা কতটা কী প্রভাব ফেলে তার দিকে তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল। বিশেষ করে জনজাতিদের মধ্যে ভালো প্রভাব ছিল তিপ্রামথার। শেষে দেখা যায় বিজেপি আইপিএফটি জোট ৬০ আসনের বিধানসভায় ৩৩টি আসন পেয়ে ক্ষমতা দখল করেছে।
প্রথমবার যখন মানিক সাহাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় সেসময় তিনি বলেছিলেন, এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা (Ek Tripura, Srestha Tripura) গড়ার জন্য সরকার কাজ করবে। সেই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হলেন তিনি। ভোটে জেতার পর তিনি বলেছিলেন, ত্রিপুরায় বিজেপির এই জয় প্রত্যাশিত ছিল।