ইন্দোর: ইন্দোর টেস্টে (Indore Test) অস্ট্রেলিয়ার (Australia) কাছে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরে গিয়েছে ভারত (India)। তিন দিন আগে এই ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করার সাহস সম্ভবত নস্ট্রাডামুসও দেখাতেন না। অথচ এমন অকল্পনীয় ঘটনাই ঘটল। হারলে যে কোনও দলই মানসিকভাবে আঘাত পায়, আত্মবিশ্বাসে খানিক টোল খায়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার নক-আউট পাঞ্চে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত রোহিত শর্মারা। মাঠ থেকে টিম বাসে ওঠার সময় সেই সবার বডি ল্যাঙ্গুয়েজে সে ছবি ধরা পড়ল।
ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে রোহিত (Rohit Sharma) যতই উদ্ধত মেজাজে থাকুন না কেন, তিনি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করেছেন যে কী কাণ্ড তাঁর দল ঘটিয়ে ফেলেছে। অজুহাতের এক ইঞ্চি জায়গা নেই। দলের এই বিধ্বস্ত অবস্থা হওয়ার কি একটা কারণ? অযুত কারণ বিদ্যমান।
নিজেদের মাঠ, নিজেদের পছন্দসই ডিজাইনার পিচ বানিয়ে প্রতিপক্ষকে পেড়ে ফেলার প্ল্যান পুরো বুমেরাং হয়েছে। ভারত স্পিন ভালো খেলে এই ‘ট্যাগ’ ছিঁড়েখুঁড়ে একাকার। প্রথম ইনিংসে ১০৯ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৩ রানে অল আউট! শেষ কবে পরপর দুই ইনিংসে এমন বিপর্যয় মনে পড়বে না। টপ অর্ডার এই সিরিজ ধরেই ঝোলাচ্ছে। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে রোহিতের সেঞ্চুরি ছাড়া কারও বড় রান নেই। আর এই টেস্টে পুজারার ৫৯।
আরও পড়ুন: Border-Gavaskar Trophy: ম্যাচ হেরেও উদ্ধত রোহিত! কী যুক্তি দেখালেন?
শুধু ব্যাটার নয়, বোলারদের নিয়েও প্রশ্ন আছে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) এবং রবীন্দ্র জাদেজাকে (Ravindra Jadeja) চোখে আঙুল দিয়ে নাথান লিয়ঁ (Nathan Lyon) দেখালেন, এই পিচে কেমনভাবে বল করতে। টেস্ট ক্রিকেটে ধৈর্যের পরীক্ষা বোলারেরও। লিয়ঁ জায়গায় বল রেখে অপেক্ষা করলেন, উইকেট দিয়ে গেলেন ভারতীয়রা। অন্যদিকে ভারতীয় স্পিনাররা ধৈর্য হারালেন। অজি ব্যাটাররা একটু প্রতিরোধ গড়তেই লাইন-লেন্থ বিগড়ে গেল তাঁদের।
তৃতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরেছিল ভারত। কিন্তু ধৈর্য হারিয়ে ভারতের এক নম্বর স্পিনার ব্যাটের গোড়ায় বল করলেন, আর ট্রাভিস হেড (Travis Head) চার-ছয় মেরে খেলা হাতের বাইরে নিয়ে চলে গেলেন। জাদেজারও একই দশা হল। ক্রমাগত সাদা বলের ক্রিকেট খেলার ফলে এই অবস্থা কি না কে জানে।