ইন্দোর: অস্ট্রেলিয়ার (Australin Cricket Team) বিরুদ্ধে বুধবার টেস্ট সিরিজের (Test Series) তৃতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ২২ রানে আউট টিম ইন্ডিয়ার সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে (Limited Overs Cricket) ছন্দে ফিরলেও, লাল বলের ক্রিকেটে (Red Ball Cricket) এখনও রানের খরা অব্যাহত। স্পিনের বিরুদ্ধে কোহলির দুর্বলতা (Wicknerss Against Spin Blowling) রয়েছে, এটা জানা কথা। আর সেই দুর্বলতাটা চলতি বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে (Border Gavaskar Trophy) প্রকট হয়ে উঠেছে। এই টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চারটি ইনিংসে ব্যাটহাতে ক্রিজে নেমেছেন কোহলি, চারবারই স্পিনের ফাঁদে দিশেহারা হয়ে উইকেট দিয়ে ড্রেসিং রুমে (Dressing Room) ফিরেছেন। চারবারের মধ্যে তিনবারই তাঁকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছেন অজি টিমের তরুণ স্পিনার টড মার্ফি (Todd Murphy)। স্পিনের বিরুদ্ধে কোহলির স্ট্রাগলিং চোখে পড়ার মতো, তাও আবার এমন একজন স্পিন বোলারের বিরুদ্ধে, যাঁর এই টেস্ট সিরিজে অভিষেক (Debut) হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংয়ে কোহলিকে প্যাভলিয়নের পথ দেখিয়েছিলেন স্পিনার ম্যাথু কুনেম্যান (Matthew Kuhnemann)।
আরও পড়ুন: Border-Gavaskar Trophy: চতুর্থ-পঞ্চম দিনের টিকিট বিক্রি বন্ধ করো, বিসিসিআইকে বার্তা ইন্দোরের দর্শকের
এমনটা নয় যে কোহলি এদিন শুরুটা ভালো করেননি। ৩৪ রানে ২ উইকেটে খুইয়ে টিম ইন্ডিয়া (Team India) তখন ভীষণ চাপে। অভিজ্ঞ ও দলের সেরা ব্যাটার (Best Batter) হিসেবে তিনিই ত্রাতা হয়ে উঠবেন, এমনটাই আশা ছিল। একটা দিক আগলে রাখার চেষ্টা করছিলেন তিনি। অন্যদিকে তখন একের পর এক উইকেট পড়ছে। কিন্তু ক্রিজে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার মুহূর্তে বিপর্যয়। মার্ফির বলে ফ্রন্ট ফুটে (Front Foot) খেলতে গিয়ে এলবিডব্লু (LBW) বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার কিং কোহলি। অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হওয়ায় রিভিউ (DRS) নেন তিনি, কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, বল তাঁর প্যাডেই লেগেছে ব্যাটের নাগাল এড়িয়ে। ক্রিকেট সমালোচক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোহলি স্পিনটা ঠিক মতো খেলতে পারেন না। এই দুর্বলতাটা নতুন নয়। আর সেই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে কোহলিকে কিভাবে প্যাভিলয়নে (Pavilion) ফেরত পাঠাতে হয়, তা আয়ত্ত করে নিয়েছেন অজি স্পিনার মারফি।
ইন্দোর টেস্টের প্রথম ঘণ্টায় ৪৫ রানে রানে ৫ উইকেটে খুইয়েছে টিম ইন্ডিয়া। ইন্দোরের পিচ খেলার জন্য টাফ। ম্যাচের বয়স যখন ৩৩.২ ওভার, তখন ১০৯ রানে অল আউট টিম ইন্ডিয়া। লজ্জাজনক ব্যর্থতার দিনে দলের টপ স্কোরার (Top Scorer) বিরাট। কিন্তু ২২ রান কোনওভাবেই মানানসই নয় কোহলির মতো একজন চ্যাম্পিয়ন ব্যাটারের সুনামের সঙ্গে। তবে কোহলি কঠিন পিচে (Tough Pitch) যেভাবে লড়াই চালিয়েছেন, তার জন্য টুইটারে কোহলি ফ্যান ও ক্রিকেটপ্রেমীরা তাঁর প্রশংসা করেছেন। আবার অনেকে ইতিবাচক সমালোচনাও করেছেন। যদিও এটা বলতেই হবে, টেস্টের আসরে এখনও ফর্মে ফেরেননি কোহলি। স্পিন খেলার সমস্যাটা এখনও রয়ে গিয়েছে তাঁর। ভেবে দেখার বিষয়, টিম ইন্ডিয়ার সেরা ব্যাটার কোহলি যেমন ব্যর্থ, তেমনই ব্যর্থ টিম ইন্ডিয়ার অন্যান্য নামজাদা ব্যাটাররাও।