ইন্দোর: টেস্ট ম্যাচ (Test Match) খেলা হয় পাঁচদিন ধরে। টিকিট বিক্রি হয় পাঁচদিনের। কিন্তু খেলা যদি দুই, আড়াই কিংবা তিন দিনে শেষ হয়ে যায় তখন? যিনি চতুর্থ বা পঞ্চম দিনের টিকিট কিনেছেন তার পয়সা জলে গেল। ইন্দোরে (Indore) আয়োজিত বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির (Border-Gavaskar Trophy) তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনে কিছু পোস্টার দেখা গেল। তাতে বিসিসিআইকে (BCCI) উদ্দেশ করে বলা হচ্ছে, চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের টিকিট বিক্রি বন্ধ করো।
হোলকার স্টেডিয়ামে (Holkar Stadium) টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। এই মাঠের ইতিহাস বলে, পিচ ব্যাটারদের স্বর্গ। বিরাট কোহলি (Virat Kohli), মায়াঙ্ক আগরওয়াল এ মাঠে দ্বিশতরান করেছেন। ১৮৮ রান করেছিলেন অজিঙ্ক্য রাহানে। কিন্তু, আজ সেই পিচ স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নামলেও হত, একেবারে নরকে গিয়ে ঠেকেছে। অজি স্পিনারদের দাপটে ১০৯ রানে বান্ডিল ভারত। স্পিনাররা ভালো বল করেছেন ঠিকই। কিন্তু প্রথম দিনের পিচেই বল ঘুরছে, লাফাচ্ছে, নিচু হচ্ছে। বোলার নিজেও জানেন না, তাঁর কোন বলটা কেমন আচরণ করবে। ম্যাচ আড়াই দিনেই শেষ হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: Border-Gavaskar Trophy: অজি স্পিনারদের দাপটে ১০৯ রানে খেল খতম ভারতের
এমন নয়, সব টেস্ট ম্যাচই চার-পাঁচ দিনে গড়াচ্ছে, ইন্দোর ব্যতিক্রম। নাগপুর (Nagpur) এবং দিল্লিতেও (Delhi) ম্যাচ আড়াই-তিন দিনে গুটিয়ে গিয়েছে। সেখানে অবশ্য অজুহাত ছিল, অস্ট্রেলিয়া (Australia) স্পিন খেলতে পারছে না। ভারত ম্যাচ জিতেছে বলে সমস্যা হয়নি, কিন্তু খেয়াল করুন, দিল্লি টেস্টে একসময় সাত উইকেট পড়ে গিয়েছিল ১৫০ না পেরতেই। অক্ষর প্যাটেল (Axar Patel) এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) না রুখে দাঁড়ালে বিপদ হতে পারত।
শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, সাম্প্রতিক অতীতে ভারতে যত টেস্ট ম্যাচ হয়েছে তার সবই গড়ে তিনদিনে শেষ। ভারতে বানানো পিচ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড। রোহিতরা যদি এই টেস্ট হারেন তবে আবারও সমালোচনা হবে। ভারতেরই বিভিন্ন স্টেডিয়ামে আরও বেশি করে দেখা যাবে পোস্টার। বিসিসিআই কি এ নিয়ে ভাবছে?