নয়াদিল্লি: সেনাবাহিনীতে (Defence Services) অগ্নিপথ প্রকল্পকে (Agnipath Scheme) চ্যালেঞ্জ করা আনা আবেদনগুলি খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi HC)। সোমবার এই প্রকল্পের বৈধতাকেও মান্যতা দিয়েছে দিল্লি উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ প্রতিরক্ষা চাকরিতে পূর্বের নিয়োগ পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত সব আবেদন বাতিল করে দেয়। নির্দেশ বলা হয়েছে, এই প্রকল্প নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন আছে বলে তারা মনে করে না।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্ট রায়দান স্থগিত রেখেছিল। আবেদনকারীদের শীতের ছুটির আগে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে লিখিত আবেদন জমা করার নির্দেশ দিয়েছিল। গত ১৪ জুন অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগে আমূল পরিবর্তন আনায় দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ-আন্দোলন মাথাচাড়া দেয়। ১৭-২১ বছর বয়সি যুবাদের চার বছরের মেয়াদে স্থল-নৌ ও বিমান বাহিনীতে নিয়োগের প্রকল্প আনে কেন্দ্র। তা নিয়ে প্রতিবাদ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পরে সরকার চাকরি প্রার্থীর বয়ঃসীমা বাড়িয়ে ২৩ বছর করে। এবং সুপ্রিম কোর্ট সব আবেদনকে দিল্লি হাইকোর্টে স্থানান্তর করে।
একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত কেরালা, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা, পাটনা এবং উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টকে অগ্নিপথ প্রকল্পকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে আনা আবেদনগুলি দিল্লি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দিতে বলে। এরপর গত অগাস্টে ডিভিশন বেঞ্চ অগ্নিপথ প্রকল্প স্থগিত রাখার বিষয়ে নির্দেশ দিতেও অস্বীকার করে দেয়। সকলকে লিখিত আকারে আবেদনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তখনই আদালত জানিয়ে দেয়, অন্তর্বর্তী কোনও নির্দেশ না দিয়ে একেবারে চূড়ান্ত শুনানি হবে।
দিল্লি হাইকোর্টে কেন্দ্র জানায়, জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পূর্ণ সার্বভৌম ক্ষমতা। প্রকল্পের সমর্থনে কেন্দ্র আদালতে জানায়, বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ কৌশলে যে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে, তা মাথায় রেখেই ভারতীয় বাহিনীতে নিয়োগে বদল আনা হয়েছে। তিন বাহিনীতে যুবা শক্তি, যারা শারীরিক ও মানসিক দুদিক থেকেই ফিট, তাদেরই নিয়োগের কথা বলা হয়েছে এই প্রকল্পে।