নয়াদিল্লি: দেশের বিভিন্ন শিক্ষামূলক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত, মেডিক্যাল এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছর পালিত হয় জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day)। পালিত হয় স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়েও। প্রত্যেক বছর বেছে নেওয়া হয় একটি থিম। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং (Dr. Jitendra Singh) ঘোষণা করেছেন, জাতীয় বিজ্ঞান দিবস ২০২৩-এর থিম হবে ‘গ্লোবাল সায়েন্স ফর গ্লোবাল ওয়েলবিয়িং’।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, পরবর্তী জি২০ সামিটে (G20 Summit) ভারতের সভাপতিত্বের সঙ্গে দারুণভাবে সাযুজ্য রাখবে এই থিম। আগামী জি২০ সামিটে গ্লোবাল সাউথ-এর (Global South) প্রতিনিধিত্ব করবে ভারত (India), এর মধ্যে থাকবে এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশও। বিশ্বজুড়ে মানুষের কল্যাণে বিজ্ঞানের যে ভূমিকা তা বিশদভাবে প্রতিফলিত হবে এই থিমে। দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভারত মানুষের কল্যাণে বিজ্ঞানের ভূমিকাকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে তাও ব্যাখ্যা করা হবে।
আরও পড়ুন: National Science Day 2023: আকর্ষণীয় কর্মসূচি নিয়ে বিজ্ঞান দিবস পালন করবে আইআইএ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তো বটেই, একাধিক গবেষণা সংস্থা সাড়ম্বরে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উদযাপন করে পালিত হয় নানাবিধ বৈজ্ঞানিক কর্মসূচি। সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক এবং বিজ্ঞানে উৎসাহী করে তুলতে করা আকর্ষক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা। এ বছর যেই ব্যবস্থা করেছে দেশের দুই অগ্রণী মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। শনিবার পালন করছে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স এবং রবিবার পালন করবে পুনের ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (IUCAA)।
প্রসঙ্গত, ১৯২৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘রমণ এফেক্ট’ (Raman Effect) আবিষ্কার করেছিলেন কিংবদন্তি ভারতীয় বিজ্ঞানী সি ভি রমণ (CV Raman)। সেই উপলক্ষে প্রত্যেক বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৮৬ সালে দেশের ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমিউনিকেশন (NCSTC) ভারত সরকারকে ২৮ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে ঘোষণা করার অনুরোধ জানায়। সেই অনুরোধে সানন্দে রাজি হয় তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯৮৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই দিনটি উদযাপিত হয়ে চলেছে।