নিউ ইয়র্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) বর্ষপূর্তির মুখে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণসভায় (UNGA) রাশিয়া-বিরোধী এক প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকল ভারত (India) ও চীন (China)। কূটনৈতিক দিক দিয়ে চীন গোড়া থেকেই রুশপন্থী থাকলেও ভারত মধ্যপন্থা অবলম্বন করে চলেছে। নয়াদিল্লির অবস্থান যুদ্ধবিরোধী হলেও সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কখনও মুখ খোলেনি। এর আগেও রাষ্ট্রসঙ্ঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে কোনও প্রস্তাবে নীরব থেকেছে ভারত। রাশিয়াকে সরাসরি না চটিয়ে ভোটদানে বিরত থেকেছে। এবারেও তার অন্যথা হল না।
শুক্রবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তি। তার আগে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণসভায় ইউক্রেন থেকে নিঃশর্তে ও অবিলম্বে রুশ সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব পেশ হয়। সেই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়। বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে ইউক্রেন এই প্রস্তাবটির খসড়া তৈরি করে। প্রস্তাবটি ১৪১-৭ ভোটে পাশ হয়। ১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণসভায় ১৪১টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। অন্যদিকে, ৭টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। এবং ৩২টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। যার মধ্যে রয়েছে চীন ও ভারত।
আরও পড়ুন: Congress’s 85th plenary session: সোনিয়া, রাহুল, প্রিয়াঙ্কা গরহাজির, কংগ্রেস অধিবেশনের শুরুতেই জল্পনা
ভারত কূটনৈতিক পথে শান্তির কথা বললেও ভোটদানে বিরত ছিল। প্রস্তাবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদ অনুযায়ী ইউক্রেনে স্থায়ী স্থাপনের লক্ষ্যে সর্বাত্মক, দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে। এর জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্য দেশগুলির পূর্ণ সমর্থন দাবি করা হয়। প্রস্তাবের আলোচনায় ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা উদ্ধৃত করে বলেন, মানুষের জীবনের বিনিময়ে কোনও সমাধান সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমরা সব সময় আলোচনা ও কূটনৈতিক পথে সমস্যা মেটানোর কথা বলে থাকি। আজকের প্রস্তাব নিয়ে আমরা দেখেছি, এর মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের সীমাবদ্ধতার রয়েছে। তাই আমরা বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
কম্বোজ ছাড়াও প্রায় ৭৫টি দেশের বিদেশমন্ত্রী এবং কূটনীতিকরা প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নেন। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) এক বছর পূর্ণ হল শুক্রবার। গত বছর এদিনই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। রাশিয়া ইউক্রেনে ঢুকে একের পর এক হামলা চালায়। রাশিয়া সহজ জয় পাবে ধরে নিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু, তা হয়নি। বিশেষত আমেরিকা, জার্মানি, ব্রিটেনের মতো শক্তিশালী দেশগুলির সহায়তায় ইউক্রেন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ২ লক্ষ সেনা নিয়ে ইউক্রেন (Ukraine) দখলের লক্ষ্যে অভিযানে নেমেছিল রাশিয়ার (Russia) সেনা।