কলকাতা: ফের অ্যডিনোভাইরাসে (Adenivirus) মৃত্যু রাজ্যে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের এক বাসিন্দা। নাম উর্যস্বতী রায়চৌধুরী বয়স ১৩ বছর। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছিল হাসপাতালে। তারপর পরীক্ষা করা হলে সেই রিপোর্টে অ্যাডিনোভাইরাসে পসিটিভ ধরা পড়ে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তারপর ভেন্টিলেশনে চলে গিয়েছিল রোগী। এরপর বুধবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ তার মৃত্যু হয়েছে।
অ্যাডিনোভাইরাসের জেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছে রাজ্যবাসি। ক্রমশ দাপট বাড়িয়ে চলেছে অ্যাডিনোভাইরাস। অনেক শিশুর ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ার পরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে। এই অবস্থায় কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ স্থির করে দিল নিয়ম-বিধি। চিকিৎসক থেকে নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী কাকে কী কী দায়িত্ব পালন করতে হবে সেই নিয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়ে। তাতে বলা হয়েছে,
মেডিক্যাল অফিসারদের
১. বাড়িতেই চিকিৎসা সম্ভব নাকি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, তা জানাতে হবে।
২. শিশুদের অভিভাবকের কথা শুনে পরীক্ষা করতে হবে।
৩. শিশুর শারীরিক অবস্থা দিকে কড়া নজর।
৪. শিশুদের বাড়িতে রাখা হলে কী কি করণীয় সেটিও অভিভাবকদের বুঝিয়ে দিতে হবে।
ফার্মাসিস্ট:
১. প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ দিতে হবে।
২. কোন ওষুধ কখন খেতে হবে অভিভাবকদের ভাল ভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে
এছাড়াও আশাকর্মীদেরও এলাকায় গিয়ে বাড়ি বাড়ি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অভিভাবকরা শিশুর শরীরে অবস্থা খারাপ হওয়ার পর চিকিৎসকের বকছে নিয়ে আসে। শরীরী খারাপ বুঝতে পেরেই যদি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যায় সেই ক্ষেত্রে রোগীর শারীরিক অবস্থা খানিকটা ভালো থাকে। সেক্ষেতের তিনদিনের বেশি জ্বর, কাশি, নাক থেকে জল পড়া অথবা গলা খুশখুশ, জোরে-জোরে নিশ্বাস নিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।