দক্ষিণ আফ্রিকা: জয়ের ধারা অব্যাহত থাকল না। জিততে পারল না ভারত। ১৪০ রানে থেমে গেল ভারতের ইনিংস। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত (India)। প্রথমে খেলতে নেমে ইংল্যান্ড (England) ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তোলে। ভারতের টার্গেট ১৫২ রান। লড়াই চালিয়ে গিয়েছে ভারত। শেষ লগ্নে রিচা ঘোষ ৩৪ বলে ৪৭ রান করেন। তবু শেষ রক্ষা করতে পারেনি। স্মৃতি মান্ধানা ৪১ বলে ৫২ রান করে। ছক্কা হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি করে। কাজে এল না তাও। পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন বাংলার রিচা ঘোষ। এদিনও ভরসা দিতে শুরু করেছিল। কিন্তু তিরে এসে তরী ডুবল। এদিন জিততে পারলে ভারত নিশ্চিত সেমিফাইনালে পৌঁছে যেত।
এদিন প্রথমে ১০ ওভার তিন বলে ৬২ রান করে ভারত। খোয়া যায় ৩ উইকেট। নয় ওভার এক বলে যেমাইমা রডরিগেজ কে হারায় ভারত। ১০ ওভারে ভারত ২ উইকেটে বাষট্টি রান তোলে। ভারতের ওপেনিং জুটি স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালী বর্মা শুরুটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে করেছিলেন। চার ওভার পাঁচ বলে ভারত শেফালী ভার্মার উইকেট হারায়। তখন ভারতের স্কোর ছিল ৩৫।
ভারতের এদিন সফলতম বোলার হচ্ছে রেনুকা সিং ঠাকুর। তিনি এদিন পাঁচ উইকেট নেন। ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন হেদার নাইটকে আউট করেন শিখা পাণ্ডে। দীপ্তি শর্মা একটি উইকেট নিয়েছেন। এদিন ইংল্যান্ডের হয়ে ওপেন করেন সোফিয়া ডাংকলে ও ড্যানিয়েল ওয়েট। রেনুকা সিংঠাকুর দ্বিতীয় বলেই এক উইকেট নেন। রেনুকার বলে উইকেট কিপার রিচা ঘোষ ক্যাচ ধরে ফেলেন।
এদিন ভারতের দলে একটি পরিবর্তন করা হয়। দেবিকা বৈদ্যর জায়গায় খেলেন শিখা পান্ডে। ভারতের হয়ে এদিন খেলতে নেমেছেন, স্মৃতি, , শেফালি, হরমনপ্রীত, রিচা, জেমাইমা, শিখা, দীপ্তি, পূজা, রাজেশ্বরী, রেণুকাসিং, রাধা।