কলকাতা: লাঞ্চের আগে আর উইকেট পড়েনি বাংলার। অভিষেক পোড়েল এবং শাহবাজ আহমেদ আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। লাঞ্চ বিরতিতে বাংলার রান ৭৮, উইকেট পড়েছে ছটি। স্লিপে ক্যাচ উঠেছিল পোড়েলের, ফিল্ডার ক্যাচের দাবি করলেও রিপ্লেতে ধরা পড়ে, ক্যাচ নেওয়ার সময় বল মাটি ছুঁয়েছে।
চলে গেল বাংলার ষষ্ঠ উইকেট। চেতন সাকারিয়ার শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ধরা পড়লেন আকাশ ঘটক। শাহবাজের সঙ্গে ক্রিজে এখন অভিষেক পোড়েল। বাংলা ৬৫ রানে ৬ উইকেট।
শুরুর বিপর্যয়ের পর যাঁকে ঘিরে আশাভরসা ছিল বাংলার সেই অনুষ্টুপ মজুমদারও আউট হয়ে গেলেন। ব্যক্তিগত ১৬ এবং দলের ৩৪ রানের মাথায় চিরাগ জানির বলে উইকেটকিপারের কাছে খোঁচা দিয়ে ফিরলেন তিনি। ক্রিজে এখন আকাশ ঘটকের সঙ্গে শাহবাজ আহমেদ। পাঁচ উইকেটে বাংলার রান ৫৭।
ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) সবুজ উইকেট বানিয়ে সৌরাষ্ট্রকে (Saurasthra) পেস বোলিং অস্ত্রে নাস্তানাবুদ করার পরিকল্পনা ছিল বাংলা শিবিরের। কিন্তু পুরোটাই হয়ে গেল বুমেরাং। এর মাত্র ১৭ রানে চার উইকেট পড়ে গিয়েছে বাংলার। প্যাভিলিয়নে চলে গিয়েছেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিও (Manoj Tiwary)। বড় নাম বলতে পড়ে টিঁকে আছেন অনুষ্টুপ মজুমদার (Anushtup Majumdar)।
টসে জিতে বল নেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট (Jaydev Unadkat)। তাতে বিস্ময়ের কিছুই নেই। মনোজও ঠিক তা-ই করতেন। উনাদকাট এবং চেতন সাকারিয়ার কাজ ছিল শুধু লাইন-লেন্থে বল রাখা, বাকিটা পিচই করবে। হলও তাই। দুই ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরন এবং সুমন্ত গুপ্ত করেন যথাক্রমে শূন্য এবং ১। শূন্য রানে ফেরেন ফার্স্ট ডাউন সুদীপকুমার ঘরামিও। ১২ বলে ৭ রান করে ফিরে যান মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwari)। এখন অনুষ্টুপের (অপরাজিত ৮) সঙ্গে সৌরাষ্ট্র পেসারদের মোকাবিলা করছেন আকাশ ঘটক।
প্রসঙ্গত, ৩৩ বছর আগে রঞ্জি ট্রফি জিতেছিল বাংলা। এরপর ফাইনালে উঠলেও খেতাব অধরাই রয়ে যায়। ২০১৯-২০ মরশুমে এই সৌরাষ্ট্রের কাছে হেরেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলার। এবার লক্ষ্য ছিল সেই ম্যাচের বদলার। কিন্তু শুরুতেই এমন ধাক্কা খেতে হবে কেউ ভাবেনি। তবে সবুজ উইকেট বানালে এমন হওয়া অস্বাভাবিক নয়।