নয়াদিল্লি: ভারতীয় টেনিস (Tennis) তারকা সানিয়া মির্জাকে (Sania Mirza) স্মৃতি মন্ধানা (Smriti Mandhana), এলিস পেরিদের (Ellyse Perry) মেন্টর হিসেবে নিয়োগ করেছে তাদের আইপিএল (IPL) ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB)। এ নিয়ে ক্রীড়ামহলের একাংশ দৃষ্টি কিছুটা তীর্যক। একজন টেনিস খেলোয়াড়কে কেন ক্রিকেট দলের মেন্টর করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। প্রশ্ন উঠতেই পারে, কিন্তু একটু গভীরভাবে ভেবে দেখলে এই সিদ্ধান্ত শুধু ভালো নয়, যুগান্তকারী মনে হতে পারে।
প্রথমত, ক্রীড়াজগতে অনুপ্রেরণার এক নাম হল সানিয়া মির্জা। ডাবলসে বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর। ডাবলসে উইম্বলডন (Wimbledon), অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং ইউএস (US Open) ওপেন জিতেছেন। মিক্সড ডাবলসে জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন (Australian Open), ফ্রেঞ্চ ওপেন (French Open) এবং ইউএস ওপেন। এই সাফল্যের কারণে ভারত সরকারের তরফে অর্জুন পুরস্কার, পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পেয়েছেন। মেন্টর হতে গেলে ব্যক্তিগত সাফল্যের প্রয়োজন। শুধু ভারত নয়, গোটা দুনিয়াতেই মেয়েদের ক্রীড়াক্ষেত্রে সানিয়া সফল, তাই তাঁর মেন্টরশিপ সাহায্য করবে মহিলা ক্রিকেটারদের।
আরও পড়ুন: Ranji Trophy Final: ৩৩ বছর পর ইডেনে রঞ্জি ফাইনাল জিততে মরিয়া বাংলা
দ্বিতীয়ত, ক্রিকেটারই ক্রিকেটে মেন্টর হবে, বা ফুটবলার মেন্টর হবে ফুটবলেই, এই চর্বিতচর্বণ চলছে বহু বছর ধরে। সানিয়ার যোগদানে সম্ভবত সেই ক্লিশে কাটবে। ক্রিকেটীয় বিষয় নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট থাকেই। সানিয়া এমন কিছু তরতাজা আইডিয়া বা অনুপ্রেরণা দিতে পারবেন যা একজন ক্রিকেটারের হয়তো মনেই আসবে না।
তৃতীয়ত, সানিয়া নিজে একজন মহিলা অ্যাথলিট। আর একজন মহিলা অ্যাথলিটের কী কী সমস্যা, কী কী চাহিদা তা তিনি ভালোই বুঝবেন। তিনি যখন টেনিস র্যাকেট হাতে তুলেছিলেন, সে সময় ভারতীয় নারীদের টেনিস খেলা কল্পনাতীত। টেনিস সুন্দরী নিজেই বলেছেন, ২০ বছর ধরে আমি পেশাদার অ্যাথলিট ছিলাম। আমি মনে করি, অবসর নেওয়ার পর আমার কাজ হওয়া উচিত, কমবয়সী মেয়েদের এই বিশ্বাস জোগানো যে খেলাধুলো তাদেরও কেরিয়ার হতে পারে।