বাজারে শেভিংয়ের সরঞ্জামের সম্ভার। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আরও উন্নত হয়েছে দাঁড়ি কামানোর সরঞ্জাম। কিন্তু আপনার দাঁড়ি কামানোর সঠিক পদ্ধতি কি জানা আছে। ডার্মেটোলজিস্টদের মতে সরঞ্জাম তো অনেক পরের কথা। আসল খেলা দাড়ি কামানোর সঠিক পদ্ধতির। মনের মতো শেভ পেতে এই নিয়মগুলি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরী এবং কার্যকরী।
১. শেভ করার আগে, ত্বক কে ভিজিয়ে নিন: অনেকেই স্নানে যাওয়ার আগে শেভ করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠিক এর উল্টোটা করলে ভাল হয়। স্নানের পরে ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও মরা কোষ বেড়িয়ে যায়। এর ফলে ত্বক ও দাড়ি অনেকটাই নরম হয়ে যায়। এতে রেজার চালানো সহজ হয় এবং ক্লিন শেভ লুক পাওয়া যায়।
২. দাড়ি কামানোর আগে শেভিং জেল বা ক্রিম ‘মাস্ট’: ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক ও সংবেদনশীল হলে শেভিং ক্রিম কেনার সময় লেবেলে ‘সেনসিটিভ স্কিন’ লেখা আছে কিনা দেখে নিন। শেভিং জেল লাগিয়ে বেশি করে ল্যাদার বা ফেনা করে নিতে হবে। এর ফলে মুখের রেজার চালানোর ফলে যে ঘর্ষণ তৈরি হয় তার হাত থেকে রেহাই মিলবে। অতিরিক্ত ল্যাদারের কারেণ রেজার সহজ ভাবে মুখের ওপর চালানো যায়। এর ফলে পুরো পক্রিয়াটা বেশ মসৃণ ও আরামদায়ক হয়।
৩. দাড়ির বিপরিত মুখি শেভ করবেন না:
এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দাড়ি যেদিকে বাড়ে সেই দিকেই রেজার চালান। এতে শেভ করতে সুবিধে হবে। এবং গালের ত্বকও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
৪. শেভিংয়ের প্রতিটা টানের পর রেজার ধুয়ে নিন: পাশাপাশি চেষ্টা করুন প্রতি ৬-৭ বার শেভ করার পর ডিজপোজেবেল রেজার করে ফেলে দিন। না হলে ব্লেড বদলে ফেলুন। এতে শেভিংয়ের পরে ত্বকের নানা সমস্যার থেকে মুক্তি পাবেন।
৫. রেজার শুকনো জায়গায় রাখুন: দাড়ি কামানো হয়ে গেলে রেজার ভাল করে পরিষ্কার করে, মুছে, শুকনো করে গুছিয়ে রাখুন। কোনও ভেজা জায়গায় রাখবেন না। রেজার ব্যক্টেরিয়ামুক্ত রাখুন।
৬. অ্যাকনে থাকলে দাড়ি কামানোর সময় সতর্ক থাকুন: শেভিংয়ের কারণে আপনার আ্যকনের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
বেশি অ্যাকনে থাকলে ইলেক্ট্রিক রেজার বা ডিজপোজেবেল ব্লেড ব্যবহার করুন।
ধারালো ব্লেড যুক্ত রেজার ব্যবহার করুন।
হাল্কা হাতে শেভ করুন। অতিরিক্তি চাপ দেবেন না। না হলে ছড়ে যেতে পারে এমনকি ব্রণ ফেটে গিয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে।
৭. আফটার শেভ লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করুন: শেভিংয়ের পর অবশ্যই আফটার শেভিং ক্রিম বা জেল ব্যবহার করুন। এতে অ্যলোকোহল থাকার ফলে রেজার চালানোর সময় গাল কেটে বা ছড়ে গেল তা স্টেরিলাইজেশনের কাজ করবে। এতে ত্বকে সংক্রমন হবে না। এছাড়াও রেজার চালানোর ফলে ত্বক কিছুটা রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে আফটার শেভিং ক্রিম। তবে ক্রিম, লোশন না জেল কোনটা নেবেন তা নির্ভর করে আপনার ত্বকের ওপর।