বিউটি ওয়ার্ল্ডে আজকাল খুব ট্রেন্ডিং গ্লাইকোলিক অ্যাসিড। তবে এই গ্লাইকোলিক অ্যাসিড কী আর কেনই বা তার এতটা সুনাম জেনে নিন-
গ্লাইকোলিক অ্যাসিড এক ধরণের ফ্রুট অ্যাসিড এটা আখ থেকে তৈরি করা হয় এবং ত্বক ভাল রাখতে এটা ভীষণ কার্যকরী। যেমন
ত্বকের বয়স ধরে রাখে
গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের অন্যতম পুষ্টিকর প্রোটিন কোলাজেনের উত্পাদন বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে ত্বক টানটান থাকে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না।
ত্বক মসৃণ রাখে
শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে রুক্ষ হয়ে যায়। এর ফলে ত্বক নিজস্ব জৌলুস ও মসৃণ ভাব হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে ত্বকে এক টানা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্যবহার করলে ত্বকে ব্রণ ও অন্যান্য দাগছোপ পরিষ্কার হয়ে যায়। আর ত্বক মসৃণ হয়ে ওঠে।
ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করে
গ্লাইকোলিক অ্যাসিড নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার হয়। এই মৃত কোষগুলি পরিষ্কার হয়ে গেলে ত্বকের নতুন কোষগুলি সামনে আসে এর ফলে ত্বক কোমল, তরতাজা হয়ে একেবারে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে ওঠে ত্বক।
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে
শীতকালে ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী এই গ্লাইকোলিক অ্যাসিড কারণ এটা ত্বকের কোষগুলিতে জল ধরে রাখে। কোষগুলি হাইড্রেটেড রাখে। এর ফলে ত্বকে নরম ও পেলব দেখায়। তবে এখানেই শেষ নয়। এছাড়াও এর আরও উপকারিতা রয়েছে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
পরিবেশ দূষণ, আবহাওয়ার বদল, সূর্যের ক্ষতিকার অতিবেগুনি রশ্মি, পাচনক্রিয়ার মতো একাধিক কারণে নষ্ট হয়ে যায় ত্বকের স্বাস্থ্য। গ্লাইকোলিক অ্যাসিডে অ্যান্টি্অক্সিডেন্ট কার্যকারিতা রয়েছে। এগুলো উপরের বিভিন্ন কারণে ফ্রি রেডিকেল্স তৈরি হয়। গ্লাইকোলিক আ্যাসিড ব্যবহার করলে এই সব রেডিকেল্স ত্বকের কোনও ক্ষতি করার আগেই নষ্ট হয়ে যায়।