নয়াদিল্লি: ওজন বেড়ে হয়েছিল ১৩০কেজি। এরপর যা হওয়ার তাই হল দিল্লি মেট্রোর পুলিশ কমিশনার জিতেন্দ্র মানির। স্থুলতার কারণে শরীরে উত্পাত করতে শুরু করল নানা রোগব্যাধি। ডায়বিটিসে থেকে শুরু করে হাই ব্লাড প্রেসার। সঙ্গে তরতরিয়ে বাড়ল কোলেস্ট্রলের মাত্রায়। সব মিলিয়ে জিতেন্দ্র মানির একেবারে তথৈবচ অবস্থা। উনিশ থেকে বিশ হলেই প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তবে একটাই ইতিবাচক বিষয়, যে হাল ছাড়েননি দিল্লির এই পুলিশ আধিকারিক। পণ করলেন এই বাড়তি মেদ ঝরিয়ে কমিয়ে আনবেন ওজন। তাঁকে সুস্থ হতেই হবে। আর তারপরই মাত্র আট মাসে ১৩০ কেজি থেকে ওজন মাত্র ৮৮ কেজিতে নামিয়ে আনেন।
কীভাবে জেনে নিন আপনিও, রইল বিস্তারিত
ডায়বিটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা কোলেস্ট্রলের অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া এই সব কিছুই আধুনিক জীবনযাপনের অনিয়মের ফল। তাই জিতেন্দ্র মানি ঠিক করলে দৈনন্দিন জীবন গুরুত্বপূর্ণ কিছু বদল আনতে হবে। করলেনও তাই।
প্রত্যেকদিন হাঁটা শুরু করলেন। দিনে অন্তত ১৫ হাজার স্টেপস রোজ হাঁটতেনই।
বদল আনলেন খাদ্যাভ্যাসেও। হাই কার্বোহাইড্রেট ডায়েটের বদলে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলেন পুষ্টিকর খাবার। যেমন বেশি পরিমাণে রুটি বা ভাত খাওয়ার বদলে নিয়মিত খেতে শুরু করলেন, সুপ, স্যালাড ও ফলমূল। এই স্ট্রিক্ট ডায়েট মেনে চলায় প্রায় ১২ ইঞ্চি কমিয়ে ফেলেছেন কোমরের মাপ। কোলেস্ট্রলের মাত্রাও কমেছে অনেকটা।
আরও পড়ুন: Weight Loss: ওজন কম করতে সকালে এই কাজগুলো অবশ্যই করুন
জিতেন্দ্র মানি বলেন, আমি যখন নিজেকে বদলানোর কথা ভাবি তখনই মাসে কমপক্ষে সাড়ে চার লাখ পা হাঁটার লক্ষ্য মাত্রা ঠিক করে নিয়েছিলাম। গত আট মাসে আমি প্রায় ৩২ লাখেরও বেশি স্টেপস অতিক্রম করেছি। এখন তাঁর ওজন ৮৪কেজি।
তাঁর এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের একটি অনুষ্ঠানে জিতেন্দ্র মানির হাতে প্রশংসাপত্র তুলে দেন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৯০ হাজারেরো বেশি পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীরা। ওজন কমানোর উদ্যোগে তাঁকে উদ্ধুধ করার জন্য তাঁর উচ্চআধিকারিকদের ও সতীর্থদের ধন্যবাদ জানিয়ে জিতেন্দ্র জানান এই উদ্যোগে তাঁরাও সমান অংশীদারি।