নয়াদিল্লি: দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের সরকারি বাসভবনে এখনও বেশ কয়েকজন সহায়ক কর্মী রয়েছেন। বিচারপতি ললিত মাত্র ৭৪ দিনের জন্য দেশের প্রধান বিচারপতির পদে ছিলেন। অবসর গ্রহণের পরও তাঁর সরকারি বাসভবনে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রায় ২৮ জন সহায়ক কর্মী কাজ করছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন তাঁর বাসভবনের রক্ষণাবেক্ষণের সরকারি পিওন ও সহযোগী কর্মী সহ ৪০ জনের বেশি কর্মী কাজ করতেন বলে জানা যায়। অবসর নেওয়ার পরও এখনও পর্যন্ত তাঁর বাসভবনে ২৮ জন কর্মী মোতায়েন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি ভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়া অন্য কোনও সাংবিধানিক পদে থাকা কারও বাসভবনে এত পরিমাণ সহায়ক কর্মী মোতায়েন থাকে না। কিন্তু দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ললিতের ক্ষেত্রে ঠিক যেন তার উল্টো। অবসর নেওয়ার পর কিছু কর্মীকে তিনি ছেড়ে দেন। কিন্তু তারপরও তাঁর আকবর রোডের বাসভবনে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এখনও সরকারি পিওন ও সহায়ক কর্মী সহ ২৮ জন কর্মী রয়েছেন।
আরও পড়ুন:PM Modi’s brother: প্রধানমন্ত্রীর ভাই প্রহ্লাদ মোদির ভাইয়ের গাড়ি দুর্ঘটনা, জখম নাতি
সরকারি সূত্র অনুয়ায়ী, দেশের প্রধান বিচারপতি তাঁর বাসভবনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১২ থেকে ১৫ জন সহায়ক কর্মীকে রাখতে পারেন। অবসরের পর সেই সংখ্যা কমে দুই থেকে তিনজনে গিয়ে দাঁড়ায়। সরকারি নিয়ম অনুসারে, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দিল্লিতে থাকার সিদ্ধান্ত নিলে সেক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ আদালত তাঁর জন্য কয়েকজন কর্মী মোতায়েনের অনুমতি দেয়। কিন্তু প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি নিজের রাজ্যে থাকতে চাইলে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টের পরামর্শে এই সহায়ক কর্মী রাখা যায়। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বাসভবনে এই বিপুল সংখ্যক সহায়ক রাখার মানে কী? সরকারি কোষাগার থেকে ওই সহায়কদের বেতন দেওয়া অপচয় ছাড়া কিছু নয় বলে মনে করে আইনজীবীদের একাংশ।