কলকাতা: বাংলায় দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগে আদালতে যাচ্ছে বিজেপি। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের শুনানিতে শুক্রবার বিধানসভায় গিয়ে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু বলেন, ‘বাংলায় দীর্ঘদিন থেকে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা হচ্ছে না। ২০১১-র পর থেকে ৫০টা দলবদলের ঘটনা ঘটলেও একটি ক্ষেত্রেও এই আইন প্রয়োগ করা হয়নি। এই ব্যবস্থার প্রতি ভরসা নেই আমাদের। আমরা আইনের আশ্রয় নেব।’
সূত্রের খবর, অধ্যক্ষ শুভেন্দুকে আরও কিছু নথি জমা দেওয়ার কথা বলেন। কোথায় কোথায় সই-সাবুদ করতে হবে সেগুলিও দেখিয়ে দেন। ৩০ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন স্পিকার। বিধানসভার অধিবেশন বয়কট করার পর এই প্রথম স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে ৬৪ পাতার অভিযোগ দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের অভিযোগপত্রটি মহেশ জেঠমালানি এবং বিজেপি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব তৈরি করেছেন।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে একাধিক সাংসদ বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও লোকসভার মুখ্য সচেতক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে একই অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু তাঁদের সাংসদ পদ খারিজ হওয়ায় নিয়ে এখনও কোনও শুনানি শুরু হয়নি।
লোকসভার সচিবালয় থেকে বৃহস্পতিবার সুনীল মণ্ডল এবং শিশির অধিকারীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। গত কয়েকদিনে দু’বার চিঠি দেওয়ার পরে এই প্রথম লোকসভার সচিবালয় থেকে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যদিও শুনানি প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি এই দুই সাংসদের বিরুদ্ধে।
রাজ্য বিধানসভায় অভিযোগের ১৫ দিনের মধ্যে শুনানি প্রক্রিয়া শুরু করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে বিজেপির বিধায়ক মুকুল রায়। তিনি বিধানসভায় বিরোধীদের জন্য বরাদ্দ ১৫ নম্বর আসনেই বসেন। এছাড়াও বিরোধী বিধায়ক হিসেবে পিএসি চেয়ারম্যান হিসেবে মুকুলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।