আধুনিক জীবনযাপন এমনিতেই সব থেকে বেশি চাপ পড়ছে আমাদের চোখের ওপর। এছাড়া রয়েছে আবহাওয়ার তারতম্য ও পরিবেশ দূষণ। সব মিলিয়ে চোখ জ্বালা, চোখ দিয়ে জল পড়া কিংবা আবার চোখের জল শুকিয়ে যাওয়া ও চোখের নীচে কালি পড়ার মতো হাজার একটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তবে শুধু ডার্ক সার্কেলের বাড়ার সমস্যাই নয়। দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ কিংবা স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে জরজর হয়ে যাচ্ছে চোখের কোলের চামড়া। আরও একগুচ্ছ সমস্যা। তাই অন্যান্য় সময় তো বটেই শীতকালে বিশেষ ভাবে চোখের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন। কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে একাধিক ভাইরাস মাথাচাড়া দেয়। আর চোখে যদি আগে থেকেই ক্লান্ত থাকে তা হলে কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও সহজ হয়ে যায় জীবাণ আক্রমণ। এক্ষেত্রে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই দরকার। তবে এর পাশাপাশি আপনি আরও যেটা করতে পারেন তা হল বাড়িতেই সহজলভ্য প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে চোখের ক্লান্তি দূর করুন এই ভাবে। আরাম পাবেন। উপকার হবে।
নারকেল তেল
নারকেল তেল লাগালে ডার্ক সার্কেল যাবে না ঠিকই। তবে নারকেল তেল দিয়ে আলতো হাতে মালিশ করে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। চোখের কোলে কুচকানো চামড়া টানটান হবে। চোখের নীচের ত্বক আর্দ্রতা পাবে।
গোলাপ জল ও শশা
শশা কুচিয়ে নিয়ে এক চামচ গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে তুলো ভিজিয়ে নিন এবং ১০ মিনিট চোখর ওপর রেখে দিন। দশ মিনিট পর চোখ ধুয়ে নিন। শশা চোখের তলার আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনবে এবং গোলাপ জল ত্বক সারিয়ে তুলবে। দেখবেন আপনার চোখের ক্লান্তি দূরে চলে যাবে, চোখের চামড়া টানটান হবে এবং তরতাজা হয়ে উঠবে।
টি ব্যাগস
দুটো টি ব্যাগ ব্যবহার করার পর ফ্রিজে রেখে দিন। এবার দশ মিনিট পর চোখ ধুয়ে ফেলুন।
চায়ে ক্যাফেন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটা চোখের ফোলা ভাব কমিয়ে দেয় এবং চোখের চামড়া টানটান এবং উজ্জ্বল করে দেয়।
মধু ও আমন্ড অয়েল
এক চামচ আমন্ড অয়েলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটা আপনার চোখে ও আশেপাশের অংশে ভাল করে লাগিয়ে নিন। পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট চোখে লাগিয়ে ধুয়ে নিন।আমন্ড ও মধু দুটোই ত্বকে আর্দ্রতা জোগায় এবং ত্বকের ভিতরে গিয়ে সেই আর্দ্রতা আটকে রাখে।তাই চোখের চারপাশে দাগছোপ সহজেই পরিষ্কার হয়ে যায়।
ভাল ফল পেতে নিয়মিত ব্যবহার করুন দেখবেন সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে চোখ কথা বলে উঠবে।
এগুলোর পাশাপাশি বাজার থেকে না কিনে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন আই ক্রিম, এর জন্য
ভিটামিন ই তেল- ১ চা চামচ
ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল- ১ চা চামচ
আরনিকা এসেনশিয়াল অয়েল-১ চা চামচ
ভিটামিন কে-১ চা চামচ
এই সব উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে চোখের চারপাশে লাগিয়ে নিন। তবে এসেনশিয়াল অয়েল ৩ বছর ব্যবহার যোগ্য থাকলেও বাদবাকি উপকরণের সঙ্গে মিশে যাওয়া এই মিশ্রণ দূষিত বা এতে ব্যাক্টেরিয়া গজিয়ে উঠতে পারে। তাই প্রত্যেক সপ্তাহে টাটকা উপকরণ দিয়ে তৈরি করে নেওয়া ভাল।