ওটস (Oats) শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। এতে কী আছে আর কী নেই! ভিটামিন (vitamin), প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ (minerals), ফাইবার (fibre) ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে (antioxidant) ভরপুর এই শস্য। ওজন কমানো থেকে শুরু করে শরীর সুস্থ রাখা, রূপচর্চা (skincare) সব কিছুতেই রয়েছে ওটসের বিপুল উপকারিতা। তাই শীতকালে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় ওটস না রাখলেই নয়। কেন তা জানুন-
শীতকালে আবহাওয়া পরিবর্তন ও ভাইরাসের হানায় আমাদের শরীরের প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি। এ ক্ষেত্রে ওটস ভীষণ উপকারী। ওটসে পুষ্টির প্রত্যেকটি উপাদান খুবই সুষম পরিমাণে আছে। কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার বিশেষ করে শক্তিশালী বিটা-গ্লক্যান(beta-glucan) ফাইবার রয়েছে। এটা ছাড়াও এতে যে পরিমাণ প্রোটিন (protein) ও ফ্যাট (fats) রয়েছে অন্যান্য শস্যের তুলনায় অনেক বেশি। আর ওটসে এই যে এত পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে তা এমন ভাবে রয়েছে যাতে আমদারে শরীরের সহজেই এই পুষ্টির যথাসম্ভব শুষে নিতে পারে। তাই নিয়মিত ওটস খেলে শরীর যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টি পায় এবং এর ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থাকে।
ত্বকের পরিচর্যায় ওটস (oats in skincare)
শুষ্ক ত্বক থেকে শুরু করে এগজিমার মতো সমস্যার সমধানে কার্যকরী ওটমিল। এমনকী স্ক্রাবার হিসেবেও ওটস ভীষণ কার্যকরী। ওটসের ব্যবহারে ত্বকের মৃত কোষও উঠে যায় আর ত্বক নিজস্ব আর্দ্রতা হারায় না।
হাঁপানি সারাতে কাজ দেয় ওটস (oats helps in asthma)
যে শিশুরা হাঁপানির সমস্যায় প্রায়ই ভোগে তাদের ওটস বা ওটমিল খাওয়ালে সমস্যার সুরাহা হতে পারে বলে গবেষণায় জানা গেছে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী ওটস (oats helps in constipation)
বেশি বয়সে বিভিন্ন শারীরিক অবস্থার কারণে শীতকালে অনেকেই কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী ওটস বা ওটমিল।
হার্ট ভাল রাখে ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে ওটস (oats good for heart)
ওটস রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই উপকারী। শীতকালে ঠান্ডা বাড়ায় এবং শীতে কাবু হয়ে সক্রিয়তা কমে যায় ফলে হার্টের সমস্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এক্ষেত্রে নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি ওটস খেলে হার্টের সমস্যা রয়েছে যাঁদের তাঁরা উপকার পাবেন। শীতকালে একাধিক মাথাচাড়া দেয় উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বিটিসের মতো একাধিক শারীরিক অসুস্থতা। সেক্ষেত্রে, ওটস-এ রয়েছে বিটা-গ্লুকান ফাইবার। এই বিশেষ ধরনের ফাইবার থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা ও গাট ব্যাক্টেরিয়াকে সুস্থ রাখার পক্ষে এটি খুবই কার্যকর। এ ছাড়াও এটি খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে থাকে। এর ফলে খিদে কম পায়।