ডুয়ার্স: বয়স ষাটের দোরগোড়ায়। সঙ্গী মোটরবাইক। আর তাই নিয়েই বেরিয়ে পড়া হিমালয় রক্ষার (Save Himalaya) বার্তা দিতে। গত ২০ অগাস্ট হাওড়ার বাসিন্দা বছর ৫৭-র শংকর বন্দ্যোপাধ্যায়। ডুয়ার্সের (Dooars) গরুমারার (Gorumara) উদ্দেশে বের হন। আর গরুমারা থেকেই ওনার হিমালয় রক্ষার বার্তা নিয়ে বেরিয়ে পড়া। লাদাখ (Ladakh) থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) এই সমস্ত এলাকা চষে বেরিয়েছেন এই দুচাকাকে সঙ্গী করে। কোনও পেশাদার রাইডিং দলের সঙ্গে নয়, এই সম্পূর্ণ যাত্রাপথ তিনি সম্পন্ন করেছেন একাই।
হিমালয় বিপন্ন, সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে একটু একটু করে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি। সবুজ ধ্বংস, অপরিকল্পিত নগরায়ন, ইচ্ছেমতো পরিকল্পনা বিহীন নদীবাঁধ নির্মাণ, এই সবকিছুই ধ্বংস করছে হিমালয়কে। কাজেই এই সমস্ত এলাকার মানুষকে সচেতন করতে ওনার এই মোটরবাইক সফর। এই ১০০ সিসির মোটরবাইককে সঙ্গী করেই তিনি পাড়ি দিয়েছেন পৃথিবীর প্রথম ও দ্বিতীয় উচ্চতম গিরিপথ ওংলিং লা, খারদুং লা। বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Weather Report: আগামিকাল থেকে রাজ্যে নামছে পারদ, বঙ্গে শুরু হচ্ছে শীতের আমেজ
ডুয়ার্সের গরুমারা থেকে শুরু করে হিমালয় অঞ্চল ঘুরে নেপাল (Nepal) হয়ে ফের গরুমারায় এসে তিনি তাঁর এই সফর সম্পন্ন করলেন। বৃহস্পতিবার রাতে গরুমারা ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও মূর্তি জিপসি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শংকরবাবুর বার্তা, দেশ ঘোরার আগে এই বাংলাকে একবার ভালো করে ঘুরে দেখুন। বিশেষ করে ডুয়ার্সকে একবার ভালো করে ঘুরে দেখার কথা বলেছেন তিনি।
অতি সম্প্রতি নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
এসবই মানুষের প্রকৃতি নিধনের ফল। পরিবেশবিদরা বলছেন, এই মুহূর্তে হিমালয় পার্বত্য এলাকায় পর্যটন ব্যবসার নামে যেভাবে পাহাড় ধ্বংসলীলা চলছে, তাতে যে কোনও দিন যে কোনও শৈলশহর মাটিতে মিশে যেতে পারে। বেপরোয়া পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি তৈরি, গাড়ির ধোঁয়ার দূষণে এখন বিপর্যস্ত পাহাড়ি প্রকৃতিও। তাই অবিলম্বে পাহাড়ে পরিবেশ রক্ষার উপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। সেই সচেতনতার বার্তা নিয়েই ঘুরে বেড়িয়েছেন শংকর।