চায়ের চেনা স্বাদের সঙ্গে আপোস করতে চান না অধিকাংশ চা প্রেমীরা। তা সত্ত্বেও দার্জিলিং টি ও আসাম টি-র আধিপত্যের মধ্যেই একাধিক উপকারিতার কারণে নিজের জায়গা করে নিয়েছে গ্রিন টি। আজকাল গুরত্ব বাড়ছে ক্যামোমাইল টি-র ও। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই দু’ধরনের চায়ের একাধিক উপকারিতা রয়েছে। তবে চা খেয়ে যে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখা যায় তা হয়ত সহজে মানবেন না অনেকেই। বরং অনেকের ধারণা চা খেলে নাকি রং কালো হয়! না এই ধারণার কোনও সত্যতা নেই বরং এর উল্টো চা খাওয়ার বেশ কয়েকটা উপকারিতা আছে। এই যেমন হিবিসকাস টি, এই চা খেলে না কী উজ্জ্বল হয় ত্বকের রঙ। রয়েছে আরও উপকারিতা কী কী জানুন-
মুখের রং উজ্জ্বল করে
জবা ফুলের সঙ্গে মুলেঠি, মৌরি, তুলসীর পাতা ও দারুচিনি দিয়ে চা তৈরি করে নিন। এই চা নিয়মিত খেলে ত্বকের রঙ আরও পরিষ্কার হয়।
অ্যান্টি এজিং হিসেবে বেশ উপকারী
জবা ফুলের ফ্রি রেডিক্যালস সরানোর ক্ষমতা আছে। তাই এই চা নিয়মিত খেলে বলিরেখা সহ বয়স বাড়ার অন্যান্য লক্ষণ কমে যায়।
মুখ উজ্জ্বল করে
জবা ফুলে ভিটামিন সি, ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টস থাকে। তাই নিয়মিত এর চা খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ত্বকের হারানো আভা ফিরে আসে।
মুখের চামড়ার কুঁচকানো কম করে
নিয়মিত জবা ফুলের চা খেলে মুখের চামড়ার কুঁচকানো ভাব কমে যায়। এমনকী মুখে বলিরেখাও কম হয়।
ত্বকের একাধিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনে
জবা ফুলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই নিয়মিত এর চা খেলে ত্বক আরও ভাল হয়। ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠে। পাশাপাশি ত্বকের ফুঁসকুড়ি ও ব্রণর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কীভাবে বানাবেন এই চা
২ থেকে ৩ চামচ শুকিয়ে যাওয়া জবা ফুলের পাপড়ি ২ কাপ জলের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এই জল অন্তত ৫ মিনিট পর্যন্ত ফুটিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ ছেঁকে নিয়ে এর সঙ্গে সামান্য মধু ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দিন। স্বাদ ভাল হবে।
ব্যস্ত শিডিউলে সময়ের অভাবে ত্বকের সঠিক পরিচর্যা না করতে পারলে নিদেনপক্ষে জবা ফুলের চা বানিয়ে খান। উপকার পাবেন এবং ত্বক ভাল থাকবে।