অযোধ্যা পাহাড়। বর্ষা ছাড়াও শীতকালে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অন্যতম পর্যটনস্থল (Tourist Spot)। সবুজ গাছপালায় ভরা পাহাড়, জঙ্গল, পাহাড়ের পাদদেশ, নদী এবং লেক সবই রয়েছে এখানে। উইকেন্ড কেন, ৩-৪ দিনের ছুটি কাটানোর জন্য দুর্দান্ত জায়গা। অযোধ্যা পাহাড় ছোট নাগপুর মালভূমির অন্তর্গত। কলকাতা থেকে দূরত্ব ৩৩২ কিলোমিটার। শহরের কোলাহল থেকে দূরে সবুজের মাঝে আপনি মন চাইলেই হারিয়ে যেতে পারেন শান্ত পরিবেশে। পশ্চিমে রয়েছে সুবর্ণরেখা নদী আর উত্তরে রয়েছে কংসাবতী ও কুমারী নদী। আপনি যদি ট্রেকিং (Trekking) ভালোবাসেন, তাহলে আপনার জন্য অযোধ্যা পাহাড় ভালো টুরিস্ট ডেস্টিনেশন (Tourist Destination) হতে পারে। পর্বোত আরোহণ শেখার জন্য অযোধ্যা পাহাড়ের আলাদা গুরুত্ব আছে। অযোধ্যা পাড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মূলত তিনটি পথ ব্যবহার করা হয় – শিরকাবাদ, ঝালদা এবং বাগমুণ্ডি। পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসার জন্য দারুণ জায়গা। প্রকৃতির মাঝে আপনার সব টেনশন দূর হয়ে যাবে।
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা (Kolkata) থেকে পুরুলিয়া (Purulia) যাওয়ার জন্য প্রচুর ট্রেন রয়েছে। রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস, লালমাটি এক্সপ্রেস, হাওড়া-রাঁচি ইন্টার সিটি এক্সপ্রেস, নওগাঁও এক্সপ্রেস ছাড়াও আরও অনেক ট্রেন রয়েছে। এর মধ্যে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস আপনি রোজ পাবেন (অবশ্যই ট্রেনের সময়সূচি মিলিয়ে নেবেন)। পুরুলিয়াতে নেমে আপনাকে অযোধ্যা পাহাড় অথবা বাগমুণ্ডি পৌঁছাতে হবে। এছাড়া, বাসে করেও আপনি পুরুলিয়া যেতে পারেন। তারপর সেখান থেকে অযোধ্যা পাহাড়। পুরুলিয়া থেকে দূরত্ব মাত্র ৫৯ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: KGF Yash: ছবি সুপার-ডুপার হিট, তবু বাস চালানো ছাড়েননি বাবা!
কোথায় থাকবেন?
থাকার জন্য বন্দোবস্ত অবশ্যই রয়েছে। বন বিভাগের রিসর্ট কিংবা ইকো ট্যুরিজমের বাংলোতে আপনি থাকতে পারবেন। তবে আগে থেকে বুকিং করে অবশ্যই যাবেন। বিশেষ করে পর্যটনের মরশুমে বাংলো পাওয়াই মুশকিল হয়ে যায়, সেই জন্য আগে থেকে বুকিং করে রাখা দরকার অযোধ্যা পাড়ে ঘুরতে যেতে হলে।
ঘোরার জায়গা?
গ্রীষ্মে যেমন তাপমাত্রা ৪৪-৪৬ ডিগ্রিতে পৌঁছে যায়, তেমনই শীতকালে তাপমাতা নেমে আসে ২-৩ ডিগ্রিতে। দুর্গাবেরী নামে রয়েছে জলাধার, এখানে দেখা মিলবে হরেক রকম পাখির (Birds)। বাগমুণ্ডির কাছেই অবস্থিত টুর্গা বাঁধ ও ঝর্ণা। ঘুরে আসতে পারেন মর্গুমা বাঁধ। এছাড়া, আশেপাশে ঘোরার জন্য রয়েছে কল্যাণেশ্বরী মন্দির, মুকুটমণিপুর, ঘাটশিলা, জামশেদপুর, পরেশনাথ, শুশুনিয়া পাহাড়, গিরিডি, বিষ্ণুপরের মতো একাধিক দর্শনীয় স্থান।