শীতকাল এলেই ঋতুস্রাবের সময়ে একাধিক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয় অনেককেই। ঋতুস্রাবের সময়ে গায়ে জ্বর জ্বর ভাব,গা গুলিয়ে ওঠা, সারাক্ষণ ঝিমঝিম ভাব, মাথা ধরা তো সারা বছরই থাকে অধিকাংশ মহিলার। আর শীতকাল এলেই দিগুণ হয়ে যায় সেই সমস্যা। অনেকের ক্ষেত্রে আবার বেশি করে বাড়ে পিরিয়ড পেন ও ব্লাড ক্লটিংয়ের সমস্যা। আপনি যদি এই দলের একজন হন তা হলে পিরিয়ডের সময় এই কাজগুলো করতে পারেন। যেমন-
তেঁতুলে ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। তাই পিরিয়ডের সময় তেঁতুল খেলে হেভি ব্লিডিং ও ব্লাড ক্লটিংয়ের সমস্যা দূর হয়।
কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোস্টেরল, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই পিরিয়ডের সময় স্মুদির সঙ্গে মিশিয়ে বা স্ন্যাক্স হিসেবে এই কুমড়োর বীজ খেতে পারেন। এগুলো খেলে ব্লাড ক্লাটিংয়ের সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রাস্পবেরির পাতায় ফ্র্যাগরিন নামের এলিমেন্ট রয়েছে। এই উপাদান শরীরে গেলে ব্লাড ক্লটিংয়ের ক্ষেত্রে আরাম মেলে।
আরও পড়ুন: ঋতুস্রাবের সময় মলিন মুখের জেল্লা ফিরিয়ে আনুন এভাবে
ব্লাড ক্লটিংয়ের সমস্যা হলে রসুন খুবই কাজের। রসুনের কোয়া চিবিয়ে খেলে ব্লাড ক্লটিংয়ের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
যদিও শীতকালে এই উপায়টা তেমন আরামদায়ক না ঠিকই। তবে ব্লাড ক্লটিংয়ের সমস্যা বাড়াবাড়ি হলে তলপেটে এই আইস প্যাক লাগালে আরাম পাবেন।
পিরিয়ডের সময় গরম কিছু খেলে বেশ আরাম লাগে। ঋতুস্রাবের সময় তাই আদা দিয়ে চা বানিয়ে খান। পিরিযডের ব্যথা কম হবে। আর হেভি ব্লাড ক্লটিং নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।