কলকাতা: বাংলায় করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশই নিম্নমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। যা মঙ্গলবারের তুলনায় সামান্য কম। একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৩১ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১৬১ জন। তবে, চিন্তায় রাখছে উত্তর ২৪ পরগণা, দার্জিলিং এবং কলকাতা৷ বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুর চিন্তার তালিকায় যুক্ত হয়েছে৷
আরও পড়ুন:করোনায় কেন কানোয়ার যাত্রা? যোগীকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
কারণ, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৮৩ জন পূর্ব মেদিনীপুরের৷ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এই জেলা দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে৷ প্রথম স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে ৯৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন। তৃতীয় স্থানে কলকাতা। একদিনে সেখানে আক্রান্ত ৭৮ জন। চতুর্থস্থানে আছে দার্জিলিং৷ সেখানে একদিনে ৭৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন৷ রাজ্যে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ৯৮৪। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৭০৮ জন। মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৮২ হাজার ৯০৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৭. ৯৬ শতাংশ। রাজ্যে সুস্থতার হার বাড়লেও এখনও চিন্তার কারণ উত্তর ২৪ পরগণা, দার্জিলিং, এবং কলকাতা। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালো পূর্ব মেদিনীপুর৷
আরও পড়ুন: ৩০ জুলাই পর্যন্ত কোভিড বিধিনিষেধ রাজ্যে
এ দিকে আজ সকালেই করোনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। চিঠিতে বাজার এবং পর্যটন কেন্দ্রে বিশেষ করে পাহাড়ে ভিড় বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তাই চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্য যেন কোভিড বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে জোর দেয়। পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউ যাতে আটকানো যায় সেই বিষয়েও সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব।
রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লার পাঠানো চিঠি৷
যদি কোভিড বিধি-নিষেধ ঠিকভাবে না মানা হয় তাহলে আর ফ্যাক্টর (reproduction number) এর বৃদ্ধি হতে পারে। যে সমস্ত এলাকায় আর সেক্টরের বৃদ্ধি হবে সেখানে করোনা রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। তাই বাজার, শপিং মল সহ বিভিন্ন এলাকায় কড়া নজরদারি চালাতে হবে প্রশাসনকে। যদি কোনও এলাকায় কোভিড বিধি না মানা হয় তাহলে সেই এলাকাগুলোকে বিধি-নিষেধের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দেশ থেকে এখনও কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ সম্পূর্ণভাবে সরে যায়নি। তাই পরিস্থিতি হালকাভাবে নেওয়ার কোনও দরকার নেই। একদিকে ভ্যাকসিনেশন যেমন চলবে তেমন অন্যদিকে কোভিড বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে সবাইকে।