বহরমপুর ও রানিগঞ্জ: বাবা-মায়ের সঙ্গে বছরের পর বছর ধরে জেলে রয়েছে মুন্সি, আরিফ, অতিমানি সহ বেশ কয়েকটি কচিকাঁচা। ওই বাচ্চাদের ভাইফোঁটা (Bhratri Dwitiya) দেওয়ার ব্যবস্থা করল বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার (Baharampur Jail)। বৃহস্পতিবার বহরমপুর জেলের সামনে ২৭ জন বালক-বালিকাকে ভাইফোঁটা দিল মুর্শিদাবাদ পুলিশ। বহরমপুর থানার মহিলা পুলিশ আধিকারিক থেকে মহিলা পুলিশ কর্মী এবং জেলের আধিকারিকরা এই প্রথম উদ্যোগ নিয়ে ভাইফোঁটার আয়োজন করলেন।
বহরমপুর মহিলা পুলিশ কর্মীরা নিজেদের বাড়িতে ভাইদের ফোঁটা না দিয়ে জেলের আসামিদের ছেলেমেয়েদের ভাইফোঁটা দিয়ে তৃপ্ত হয়েছেন। তেমনই হাসি ফুটেছে জেলের আসামিদের ছেলেমেয়েদের। ভাইফোঁটা উপলক্ষে ছোটদের মিষ্টি, চকোলেট সহ নানান উপহারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পুলিশের ওই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। এদিন খোলা আকাশের নীচে এই অভিনব ভাইফোঁটার উলুধ্বনি, শাঁখের আওয়াজ পৌঁছে গেল জেলের প্রাচীরবন্দি আসামিদের কানেও।
আরও পড়ুন: Cinnamon Rolls: এবার ভাইফোঁটায় বাড়িতে এই অফবিট সিনেমন রোলস বানিয়ে চমকে দিন সবাইকে
একইভাবে বৃদ্ধাশ্রমের (Old age Home) আবাসিক মহিলাদের থেকে ভাইফোঁটা নিলেন পুরুষ আবাসিকরা। আজ ভাইফোঁটায় ভাইদের মঙ্গল কামনায় বোনেরা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন। কিন্তু বৃদ্ধাশ্রমে রয়েছেন যে সকল আবাসিক, ভাইফোঁটার দিন তাঁদের মন ভারাক্রান্ত যাতে না হয় সেই চেষ্টাই করল বৃদ্ধাশ্রম কর্তৃপক্ষ। রানিগঞ্জ (Raniganj) বিধানসভার অন্ডালের খান্দরা বৃদ্ধাশ্রমে আয়োজন করা হয়েছিল ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান। এই আবাসনের ২৯ জন আবাসিক তাতে অংশ নিলেন। বৃদ্ধাশ্রমের মহিলা আবাসিকদের থেকে ভাইফোঁটা নিলেন রানিগঞ্জের সিপিআইএমের প্রাক্তন বিধায়ক রুনু দত্ত।
এভাবে ভাইফোঁটার দিনে নিজেদের ভাই-বোনকে ছেড়ে অন্য জায়গায় এসে ভাইফোঁটার সেই আনন্দ পেলেন জীবনের উপান্তে এসে পৌঁছনো ব্যক্তিরা। অন্য দাদা-ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে আনন্দিত আবাসিক মহিলারাও। পাশাপাশি এই বয়সে বৃদ্ধাশ্রমে এসে নতুন করে বোন পেয়ে খুশি বৃদ্ধ ভাইরাও।