ইউরোপে পারমাণবিক হামলা করতে পারেন কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন? এই প্রশ্ন দানা বাঁধার মধ্যেই জানা গেল, ন্যাটোর সীমান্তে ১১টি পরমাণু বোমা নিক্ষেপকারী প্লেন মোতায়েন করেছেন তিনি। উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে, ফিনল্যান্ড এবং নরওয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে পরমাণু বম্বার।
১২ আগস্ট এলেইনা বিমানঘাঁটিতে একটিও স্ট্র্যাটেজিক বম্বার ছিল না। অথচ ২১ আগস্ট সেখানে চারটি টিইউ-১৬০ চলে এসেছে। কোলা পেনিনসুলায় সাতটি টিউ-১৬০ স্ট্র্যাটেজিক বম্বার এবং চারটি টিউ-৯৫ এয়ারক্রাফট মোতায়েন রয়েছে। আমেরিকার একটি স্যাটেলাইট অপারেটর সংস্থা থেকে এই তথ্য বের করেছে নরওয়ের তথ্য যাচাই সংস্থা।
পশ্চিমের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে একে একে পুতিনের এই ঘুঁটি সাজানো। দুই সপ্তাহ আগেই জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছিল সাতটি বম্বার প্লেনের অস্বাভাবিক মোতায়েনের খবর প্রকাশ করেছিল। ইজরায়েলের গোয়েন্দা বিভাগ উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে এই বোমারু বিমান মোতায়েনের খবর পায়। সে সময় টিইউ-১৬০ স্ট্র্যাটেজিক বম্বার এবং টিউ-৯৫ এয়ারক্রাফট মোতায়েন হতে দেখা গিয়েছিল। অথচ সাধারণত এই বোমারু বিমানগুলি মস্কো থেকে ৪৫০ মেইল দক্ষিণ-পূর্বে এঙ্গেলস এয়ারবেসে মোতায়েন থাকে।
আরও পড়ুন: Nirmala Sitharaman on ED: ইডি স্বাধীনভাবে কাজ করে, রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার হয় না, দাবি দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলার
বর্তমানে সেগুলি আছে ন্যাটোর সদস্য দেশ নরওয়ে এবং খুব শিগগিরই ন্যাটোর সদস্য হতে চলা ফিনল্যান্ডের সীমান্তে। ওলানিয়া সেনাঘাঁটিতে কেএইচ-১০১ সেনাঘাঁটিতে ক্রুজ মিসাইল আনা হয়েছে তার প্রমাণ রয়েছে। তা ইউক্রেনের ব্যবহার করা হতে পারে বলেই আশঙ্কা। প্রসঙ্গত, কেএচি-১০১ পরমাণু বোমা বহন করতে সক্ষম। এদিকে টিউ-১৬০ বিমান যাকে হোয়াইট সোয়ান বলে ডাকা হয়। পশ্চিমি মুলুকে নাম আবার ব্ল্যাকজ্যাক। সেই সোভিয়েত আমল থেকে রাশিয়ার অস্ত্রসজ্জায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এই যুদ্ধবিমান। টিউ-৯৫ বিমানও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।