প্রাতরাশ দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আহার। কারণ রাতের খাবারের পর পরের দিন সকালের খাবারের মধ্যে দীর্ঘ একটা ব্যবধান তৈরি হয়। ব্রেকফাস্টে তাই শুধু সু্স্বাদু হলেই চলবে না নিউট্রিশনিস্টদের মতে তা হতে হবে পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। যেমন হেলদি-টেস্টি ও চটজলদি খাবার হিসেবে কর্নফ্লেকস বা মুইসলি বেছে নেন অনেকেই। কিন্তু তারা জানেন না কর্নফ্লেক্সের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কিন্তু বেশ বেশি। আর মুইসলি স্বাস্থ্যকর হলেও তা হাইলি প্রসেস্ড। তাই ডায়বিটিস রোগীদের ক্ষেত্রে শুধু পুষ্টি দেখলেই চলবে না। পরখ করতে হবে খাবারের গ্লাইসিমিক ইন্ডেক্স। মানে এমন খাবার খেতে হবে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। পুষ্টিবিদদের মতে ব্রেকফাস্টের একাধিক বিকল্পের মাঝে ডায়বেটিকদের গোটা ও আনপ্রসেস্ড খাবারগুলি বাছতে হবে। যেমন গোটা শস্য, সবজি, দুগ্ধ জাতীয় ও প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন-
ওটস
কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটস রয়েছে ওটসে। আরও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই কার্যকর।
ডিম
ডায়বেটিকরা প্রাতরাশে ডিম খেতে পারেন। ডিমে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন যেমন থাকে তেমনি আবার ক্যালোরির মাত্রা ডিমে খুবই কম। এর ফলে ডিম একদিকে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে তেমন আবার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ডিম খুবই উপকারী।
বেসনের চিল্লা
উত্তর ভারতের এই ডিশ যেমন সুস্বাদু তেমন স্বাস্থ্যের জন্যেও উপকারী। বেসনে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। ডায়বিটিকদের জন্য এই দুটি উপাদান বেশ কার্যকরী। নিরামিষাশীরা ডিমের বদলে ব্রেকফাস্টে এটা খেতে পারেন।
চিয়া বীজ
রক্তে শর্করার ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে চিয়া বীজ। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। চিয়া বীজ জলে ভিজিয়ে খেলে উপকৃত হবেন
বাদাম
বাদামে প্রচুর পরিমাণ এনার্জি, প্রোটিন ও হেলদি ফ্যাট থাকে। এই সব উপাদান শরীরে শক্তির জোগান দেয়।
ইয়গহার্ট বা টক দই
ইয়গহার্ট বা টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে আর ঠিক ততটাই কম থাকে চিনি। কারণ ফার্মেন্টেশন প্রসেসে ল্যাক্টোস সুগার পুরোপুরি ব্যবহার করে নেয় ব্যাক্টেরিয়া। তাই এতে চিনির মাত্রা খুবই কম থাকে।
এছাড়া ব্রেকফাস্টে ওটসের সঙ্গে ফল বা চিয়া বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন। হোল হুইট ব্রেডের সঙ্গে পাকা কলা কিংবা ডিম, কয়েক টুকরো টমেটো ও শসা খেতে পারেন।