ভার্চুয়াল শুনানিতে(virtual hearing) বুধবার কেঁদে ভাসালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়(Arpita Mukherjee)। এদিন পার্থ বলেন, আমি ৭১ বছরের বৃদ্ধ। আমি জনপ্রতিনিধি। বিরোধী দলনেতা ছিলাম। আমি বহুদিনের রাজনীতিবিদ। যে কোনও শর্তে আমাকে জামিন দেওয়া হোক। আমি সব শর্তস নির্দেশ মানব। তদন্তে সব রকমের সাহায্য করব। আদালতের কাছে প্রাক্তন মন্ত্রীর কাতর আবেদন, আমাকে বাঁচতে দিন। পার্থ বলেন, আমি ইকনমিক্সে অনার্স। শরীর খুব খারাপ। এসএসকেএম, ইএসআই হাসপাতালের সব রিপোর্ট জমা আছে আদালতে। দরকার হলে বিচারক তা খতিয়ে দেখতে পারেন। আমার মেয়ে আমেরিকায় থাকে। সে খুব চিন্তিত। বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন প্রাক্তন এই মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যের পাঠ্যবইয়ে জাতীয় সঙ্গীতে ‘উৎকল’, ‘বঙ্গ’ উধাও
পার্থর বান্ধবী অর্পিতা বলেন, আমার বাড়িতে বৃদ্ধা মা রয়েছেন। বিচারক জানতে চান, তিনি কি মার কাছে থাকতেন। মায়ের কাছে যেতেন। অর্পিতাও কথা বলতে বলতে হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকেন।
এদিন শুনানি চলাকালীন অর্পিতা বলেন, আমার সঙ্গে এটা কীভাবে ঘটল, আমি নিজেও জানি না। ইডির অফিসাররা আমার বাড়িতে প্রায় ৩০ ঘণ্টা ছিল। আমি জানি না, কোথা থেকে ওরা টাকা উদ্ধার করলেন। প্রায় সাত ঘণ্টা আমি ঘরে ছিলাম, চার ঘণ্টা ওয়াশ রুমে ছিলাম। আমি সাধারণ পরিবারের মেয়ে। ৭৫ বছরের বৃদ্ধা মা। বাবা মারা গিয়েছেন। মাকে দেখতে হয় আমাকেই।
বিচারকের প্রশ্নের জবাবে অর্পিতা জানান, তিনি মায়ের কাছে থাকেন না। জানতে চাওয়া হয়, বাড়ি তাঁর নামে কি না, কোন সংস্থায় কাজ করেন। অর্পিতা বলেন, ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্ট(Icche Entertainment) নামে একি সংস্থায় কাজ করি। ২০০৫ সাল থেকে সিনেমা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। টাকার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। বুঝতে পারছি না, আমার মতো সাধারণ মানুষের বাড়িতে কেন ইডি গেল।