কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার সূচনা হল বুধবার। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত কংগ্রেসের সর্ববৃহৎ এই পদযাত্রা এদিন বিকেল ৫টায় শুরু হয়। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী অসুস্থতার কারণে হাজির থাকতে না-পারায় শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মিছিল শুরু হবে। সাড়ে ৩ হাজার কিমির এই পদযাত্রা ১৫০ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়ে কাশ্মীরে পৌঁছবে।
এদিন সকালে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামপুদুরে প্রয়াত রাজীব গান্ধীর শহীদবেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এখানেই ১৯৯১ সালের ২১ মে শ্রীলঙ্কার এলটিটিইর আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় শহীদ হয়েছিলেন রাহুলের বাবা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। বাবার শহীদস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাহুল টুইট করে বলেন, ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতির বলি হয়েছিলেন আমার বাবা। বাবাকে হারালেও আমি আমার ভালোবাসার দেশকে হারাতে চাই না। ভালোবাসাই ঘৃণাকে জয় করতে পারে। আশা করি ভয়কে জয় করে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই জয় পাব।
আরও পড়ুন:Uttar Pradesh: হাজার টাকা দিতে না পারায় অন্তঃসত্ত্বা যুবতীকে রাস্তায় ফেলে পালাল অ্যাম্বুল্যান্স চালক
বিজেপির শাসনে সামাজিক মেরুকরণ ও একচেটিয়া রাজনৈতিক আধিপত্য চলছে। এর আগে রাহুল এই পদযাত্রাকে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে তাঁর তপস্যা বলে বর্ণনা করেছিলেন। এদিন বিকেলে রাহুল কন্যাকুমারীর মহাত্মা গান্ধী মণ্ডপমে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন তাঁর হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিতেই শুরু হয় আনুষ্ঠানিক যাত্রার। প্রতীকী হিসেবে একটি ব়্যালি হলেও প্রকৃত পদযাত্রা শুরু হবে বৃহস্পতিবার সকালে। এই মিছিল ১২টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিয়ে ৩৫০০ কিমি পথ পেরবে ১৫০ দিনে।