নদীর সঙ্গে শুনে
খটকা লাগছে, তো
? কিন্তু গুজরাতের সবরমতি এক
নদী, যাকে ওই
রাজ্যের ভূমিপুত্র নরেন্দ্র মোদীর আবর্তিত
হয়। সে
তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকুন দেশের
প্রধানমন্ত্রী হোন, রাজনৈতিক
প্রচার কৌশলে সবরমতি
নদীর অনুষঙ্গতাতে
অবশ্য নদী কোনো
গ্যারান্টি না নিজের
ভাবমূর্তি নির্মাণে আহমেদাবাদের সবরমতি বস্তুত
জায়গিরদারীতে পরিণত প্রধানমন্ত্রী।
হাতে মাস সময়। গুজরাতের
বিধানসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় এসেই
যথারীতি সবরমতি নিয়ে
ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছেন নরেন্দ্র
মোদি।
রাজস্থান
থেকে সবরমতির যাত্রাপথের সিংহভাগ গুজরাতের উপর বয়ে
গিয়েছে। আমেদাবাদ
শহরের মধ্য বয়ে
চলা সবরমতি ভারতের
স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে গিয়েছিল
মহাত্মা গান্ধীর সৌজন্যে১৯
৩০ সালে
লবন সত্যগ্রহের লক্ষ্যে এই তির
থেকে ডান্ডি শুরু
করেছিলেন গুজরাতের ভূমিপুত্র জাতির গান্ধী। সেখানে
গড়ে উঠেছিল মতি
আশ্রম।
সেসব ইতিহাস ফেলে
নরেন্দ্র মোদি সৌন্দর্য্যায়নের
নামে নদীর কংক্রিটে
বাঁধিয়ে ফেলেছেনগুজরাতের
মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গড়ে সবরমতি
রিভার ফ্রন্ট করপোরেশন। যাদের
কাজ আহমেদাবাদে নদীর
দুই পাড়ে নামে
নানাবিধ কংক্রিটের
নির্মাণ। পরিবেশ
বা নদীর প্রকৃতি
রক্ষা সেখানে ।
এমনকি কোটি অর্থ
ব্যয় করে যে
নদী পাড়ের প্রকল্প তাতে
সাধারণ নাগরিকের কী তা
নিয়ে অবশ্য সরকারের
কোনো মাথাব্যথা লক্ষ্য যায়নি। কিন্তু
সবর মতি কেন্দ্র
করে আম একটা
ভাবাবেগ রয়েছে, তাকে
তাঁকে আত্ম কাজে
লাগাতে বরাবরই ।
মুখ্যমন্ত্রী থাকার থেকেই
সবর মতি প্রচারে
নজর দেন ।
ভাবখানা এমন কোটি
কোটি টাকা ঝা
চকচকে সবরমতি ফ্রন্টের
মতোই মসৃন জীবন। এক
কথায় মোদির মডেলের
প্রতীক যেন রিভার
ফ্রন্ট।
কংক্রিটের
গ্রাসে সবরমতির নদীর বৈচিত্র্য
বিপন্ন হলেও নিয়ে
ভাবিত নন ।
তাই প্রকৃত রিভার উন্নয়ন না
হোক মোদির ফ্রন্ট
হয়ে উঠেছে সবর
মতি। রাজ্যের
মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী
হওয়ার পরেও আত্মপ্রচারের
অভিমুখ কিন্তু নদীকে
ঘিরে। বিদেশি
কূটনীতিক বা ভারত
সফরের তালিকায় সবরমতি
রাখবেন মোদিচীনের
রাষ্ট্রপতি শিং পিন
জাপানের সদ্য প্রধানমন্ত্রী
শিনজো আবে মার্কিন
প্রেডিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রমুখ রিভার
ফ্রন্ট পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। অর্থাৎ
তাঁর জমানায় সম্পর্ক
চীনের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ
হোক না সস্ত্রীক
চীনা রাষ্ট্রপ্রধানকে সবরমতি করিয়েও
বিশেষ সুবিধা পারেননি
প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু
তাতেও হাল তিনি।
গুজরাতের
গত বিধানসভা ভোটে মতি
নদীতে বিমান মোদি। যা
গুজরাত তো গোটা
দেশে চমক ।
এবার আসন্ন ভোটের
মুখে মোদির অটল
সেতু। প্রাক্তন
প্রধানমন্ত্রীর নামে ও
পশ্চিম আহ্মেদবাদকে পায়ে পথে
জুড়তে এই এখন
পর্যটকদের ভ্রমন সেলফি
তোলার জায়গা উঠেছে। তবে
৭৪ কোটি ব্যয়ে
তিনশো মিটার এই
সেতুতে উঠতে ঘন্টায়
তিরিশ টাকা টিকিট
কাটতে হয়সাধারণ উন্নয়নের
কিছু নমুনা ধরতে
ভোটের বাজারে মোদির
বাজি অটল ।