তিনদিনের প্রশিক্ষণ শিবির শেষ হতেই রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর হাত থেকে সব ক্ষমতা নিয়ে নিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিছুদিন আগেই অমিতাভর মাথার উপর বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল সতীশ ধন্দকে। তাঁকে অমিতাভর সঙ্গে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এবার সতীশকে ১৮টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হল। এই জেলাগুলির দায়িত্বে ছিলেন অমিতাভ।
রাজ্য বিজেপির অন্দরে অমিতাভর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ওঠে। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী অভিযোগ করে, তিনি দলের মধ্যে নিজের অনুগামীদের প্রাধান্য দিচ্ছেন। তিনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেও মদত দিচ্ছেন। বিক্ষুব্ধদের আরও অভিযোগ, বিধানসভা ভোটে দলের বিপর্যয়ের জন্য অমিতাভর বড় ভূমিকা ছিল। তাঁরা শীর্ষ নেতৃত্বকে অমিতাভর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও করেন। তার পরেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সতীশকে রাজ্য বিজেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে বসান।
এমনিতেই রাজ্য বিজেপিতে কোন্দল লেগেই রয়েছে। সদ্যসমাপ্ত প্রশিক্ষণ শিবিরে এই কোন্দল থামানোর উপর বিশেষ জোর দেন কেন্দ্রীয় নেতা বি এল সন্তোষ, সুনীল বনসল প্রমুখ। তার পরেও কোন্দল আদৌ মিটবে কি না, তা নিয়ে দলের মধ্যেই সংশয় রয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করছেন, কোন্দল না বন্ধ হলে পঞ্চায়েত ভোটেও বিজেপি রাজ্যে ছাপ ফেলতে পারবে না। তার প্রভাব পড়বে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও।