পার্থ, অনুব্রত সম্পর্কে মুখ খুলে তৃণমূল নেতৃত্বের রোষে পড়েছেন রাজ্যসভার সদস্য, প্রাক্তন আমলা জহর সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। যদিও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও জহরের বক্তব্য নিয়ে মুখ খোলেননি। তবু জহরকে নিয়ে বিতর্ক থামেনি। এই বিতর্কের মাঝেই বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সদস্য। এদিন এক টুইটে তিনি বলেন, বিশ্বের প্রথম দশজন ধনী ব্যক্তি তাঁদের সম্পদ বাড়িয়েছেন নয়া প্রযুক্তিকে মানবিক স্বার্থে ব্যবহার করে। একমাত্র গৌতম আদানির শক্তির উৎসস্থল অন্যত্র। টুইটের ছবিতে জহর দেখিয়েছেন, আদানির সম্পদ মোদি।
তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে, দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে বলে আঁচ করেই জহর সরকার মোদি নিন্দায় মুখর হয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান নেতা এদিন বলেন, না পোষালে জহর সরকার রাজ্যসভার সদস্যপদ ছেড়ে দিলেই পারেন। প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় আগেই বলেছেন, তিনি সাংসদ পদ ছেড়ে দিন না। আমরা উপনির্বাচনে অন্য প্রার্থীকে জিতিয়ে আনব।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে একটি বেসরকারি চ্যানেলে জহর সরকার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের কথা তুলে বলেন, শরীরের এই সব পচা অংশ বাদ না দিলে২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে লড়াই করা কঠিন। তাঁর দাবি, বাড়ির লোকজন এবং বন্ধুবান্ধব তাঁকে তৃণমূল ছাড়তে বলছেন। জহরের আরও অভিযোগ, দল তাঁকে ঠিকমতো কাজে লাগাচ্ছে না। সাংসদ আরও বলেন, মমতা যদি চান, তবেই আমি রাজ্যসভার সদস্যপদ ছেড়ে দেব। আত্মসম্মান বিকিয়ে দিয়ে আমি দলে থাকতে চাই না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন বলেই আমি রাজ্যসভার সাংসদ হতে রাজি হই। জহরের বক্তব্যের সমালোচনা করেন তৃণমূলের অপর রাজ্যসভা সদস্য ডেরেক ও ব্রায়েনও।