কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: রবিবার প্রকাশ্যেই বাংলায় সিবিআইয়ের সেটিং নিয়ে বিদ্রুপ করেছিলেন। সোমবার ফের সিবিআইয়ের সেটিং নিয়ে মুখ খোলেন। মঙ্গলবারও সেই সেটিং তত্ত্বে অনড় থাকলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আমি রিপিট করি না। যা বলি স্পষ্টভাবে বলি। এতে আমার কিছু করার নেই। আমার অনেক বেশি কষ্ট আছে।
রবিবার কলকাতার কেন্দ্রীয় সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি সিবিআই-ইডির সক্রিয়তা প্রসঙ্গে বোমা ফাটান। বলেন, আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হলেও এফেক্ট পড়ছিল না। গত কয়েক বছর ধরে বাংলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে সেটিং করা হচ্ছিল। অর্থমন্ত্রক বুঝতে পেরে ইডিকে পাঠিয়েছে। ইডি পোষ মানবে না, কামড়াবে। যারা সেটিং করেছে, তাঁরাই এখন ইডির তদন্ত নিয়ে আপত্তি করছে। আদালতে যাচ্ছে।
সেদিন দিলীপের এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কুণাল বলেন, বিকৃত ভাষা ব্যবহার করেছেন উনি। সাংসদের মুখে এ ধরনের ভাষা শোভা পায় না। সিবিআইয়ের সম্মানহানি হচ্ছে। সোমবার দিলীপ বলেন, সিবিআইকে আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু ন্যায় পাইনি। আমাদের ৬০ জন কর্মী খুন হয়েছেন। আদালতের নির্দেশে তার তদন্ত করতে এসেছে তারা। কিন্তু, কজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে সিবিআই, প্রশ্ন তোলেন দিলীপ।
মঙ্গলবারও সেই সেটিং তত্ত্বে অনড় থাকলেন মেদিনীপুরের সাংসদ। বললেন, আমি যা বলি স্পষ্টভাবে বলি। আমার কিছু করার নেই। আমার অনেক বেশি কষ্ট আছে। তাঁর কথায়, যখন সভাপতি ছিলাম, আমাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। খুন হয়েছেন অনেক কার্যকর্তা। ভোটের পরে প্রায় ৬০ জন কর্মী খুন হয়েছেন। তার জন্য আমরা আদালতে গিয়েছিলাম। আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কতজন সাজা পেয়েছে, মৃত কর্মীর পরিবারকে আমরা বিচার দিতে পেরেছি?
দিলীপ বলেন, প্রশ্ন আমি করতেই পারি! তাতে যদি কারও খারাপ লাগতেই পারে। আমরা কাউকে খুশি করবার জন্য রাজনীতি করছি না। বাংলার সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করি। এখানকার পুলিশ প্রশাসনের উপরে আমাদের ভরসা নেই। তাই আমরা আদালতে গিয়েছিলাম। সিবিআইয়ের উপরও যদি ভরসা না পাই, সে কথা তো বলবই। সিবিআই আমার দেখার দরকার নেই। জনগণের টাকায় চলছে। আমাদের দেশের একটা সংস্থা আছে। তার উপর ভরসাও আছে। যখন ভরসা থাকে না, তখনই আমরা প্রশ্ন তুলি।