কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: চীনের বিদেশ মন্ত্রক শুক্রবার মার্কিন জনপ্রতিনিধিসভার স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করল। পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে চরম রুষ্ট বেজিং। ফলে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে মার্কিন স্পিকারকে বয়কটের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করায় দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে বিশ্ব রাজনীতির পারদ ফের চড়ল বলেই অনেকে মনে করছেন। পেলোসির সফরের পর থেকেই চীন তাইওয়ান খাঁড়ি এলাকায় সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে চলেছে। এদিনই জাপান সফরে গিয়েও পেলোসি তাইওয়ানের পক্ষে থাকার বার্তা দিয়েছেন। তারপরই চীন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে পেলোসিই প্রথম নন, এর আগেও অনেক মার্কিন নেতা ও প্রশাসনিক কর্তাকে বয়কট করেছে কমিউনিস্ট চীন।
আরও পড়ুন: JP Nadda: হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির জন্য বিধায়কদের আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ বিজেপি সভাপতি নাড্ডার
চীনের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ন্যান্সি পেলোসি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর এই সফরে চীনের সার্বভৌমত্ব ও দেশের সীমারেখার সংহতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে কারণে চীন পেলোসি এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ পরিবারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। গত কয়েক বছর ধরে চীন এরকমভাবে মার্কিন নেতা-কর্তাদের অচ্ছ্যুত ঘোষণা করেছে। যখনই চীনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা স্বার্থে ঘা পড়া কোনও বিষয় উঠে এসেছে, তখনই লাল সরকার তাদের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হয়। এ বছরের মার্চেই আমেরিকার কয়েকজন সরকারি কর্তার বিরুদ্ধে ভিসা প্রত্যাখ্যান করেছিল চীন। প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও কিংবা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারোর বিরুদ্ধে চীনের বিষনজরে পড়েছিল। এর ফলে তাঁরা চীনে আসতে কিংবা তাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।