কলকাতা: ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট। সিআইডি তদন্তেই ভরসা রাখল আদালত। তারা এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছিলেন। বৃহস্পতিবার আদালত জানায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযুক্তরা তদন্তকারী সংস্থাকে পছন্দ করতে নাও পারে। তাদের পছন্দ অপছন্দের উপর তদন্তের গতিপ্রকৃতি নির্ভর করে না। তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। গাড়িটি ধরা পড়েছে হাওড়া পাঁচলা এলাকা থেকে। কোনও অপরাধের তদন্ত সাধারণত স্থানীয় তদন্তকারী সংস্থা করে থাকে। এই মুহূর্তে আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। তাই তদন্তভার সিবিআইকে স্থানাতরের আবেদন খারিজ করে একথা বলেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: দিল্লি সফরে মমতা-অভিষেক, মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক নিয়ে জল্পনা
উল্লেখ্য, সিআইডির তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও ধৃত ঝাড়খণ্ডের এই তিন কংগ্রেস বিধায়ক ৭৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। পাশাপাশি এদিন সিআইডি লালবাজারের শেয়ার ট্রেডিং সংস্থার মালিক মহেন্দ্র আগরওয়ালকে বৃহস্পতিবার তলব করেছে বলে সূত্রের খবর। এদিন আগরওয়ালকে হাজিরা দিতে হবে সিআইডির কাছে। গত ৩০ জুলাই রাতে হাওড়ার পাঁচলায় ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের একটি কালো গাড়ি থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে সিআইডি। গ্রেফতার করা হয় ওই তিন বিধায়ককে। তখনই সামনে আসে ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস সরকার ফেলার চক্রান্ত চলছে।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক আগেও টাকা নিয়েছেন, তথ্য সিআইডির হাতে
শনিবার হাওড়ার সাঁকরাইলে পাঁচলা থানা এলাকায় গাড়ির ভিতর বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধার হয়। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। গাড়িতে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক৷ শনিবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিস৷ গ্রেফতারের পরই তিনজনকে তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে৷ ধৃতরা হলেন ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি, খিরজির বিধায়ক রাজেশ কাছাপ এবং কোলেবিরার বিধায়ক নমন বিক্সাল৷ এঁদের সঙ্গে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়৷