কলকাতা: একজন বলেছিলেন, আমার কোনও টাকা নেই। আমি লেনদেন করি না। আরেকজন বললেন, এই টাকা আমার নয়। আমার অনুপস্থিতিতে এবং আমার অজান্তে এই টাকা ঘরে ঢোকানো হয়েছে। প্রথমজন হলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর দ্বিতীয়জন পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি। টাকা ‘মালিকানা’ নিয়ে পার্থ-অর্পিতার এহেন মন্তব্যের পর একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। সেটা হল, টাকাটা তাহলে কার? কেই বা অর্পিতার ফ্ল্যাটে টাকা রাখল? কী উদ্দেশ্যেই বা এত টাকা ব্যাঙ্কে না রেখে বাড়িতে রাখা হল?
মঙ্গলবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে ঢোকার মুখে অর্পিতা বলেন, ‘এই টাকা আমার নয়। আমার অনুপস্থিতিতে এবং আমার অজান্তে এই টাকা ঘরে ঢোকানো হয়েছে।’ টাকা কোথায় যেত? এই প্রশ্নও করা হয় মডেল-অভিনেত্রীকে। যদিও সাংবাদিকদের সেই প্রশ্নের অবশ্য কোনও উত্তর দেননি অর্পিতা। এর আগে রবিবার প্রাক্তন তৃণমূল মহাসচিবকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়, টাকা কার? জবাবে পার্থ বলেছিলেন, ‘আমার কোনও টাকা নেই। লেনদেন করি না।’ ষড়যন্ত্র ইস্যুতে সেদিন রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘সময় এলেই বুঝবেন, কে ষড়যন্ত্র করেছে।’
মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় পার্থ-অর্পিতাকে। এই নিয়ে চতুর্থবার স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য তাঁদের এখানে আনা হয়। বুধবার তাঁদের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেদিনই দু’জনকে হাসপাতালে তোলা হবে। এদিনও সিজিও থেকে জোকা পর্যন্ত গ্রিন করিডোরের ব্যবস্থা করা হয়। একটি সিগন্যালেও দাঁড়ায়নি গাড়ি। কনভয়ের প্রথমেই ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি, তার পরের গাড়িতে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর পর ফের কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি, তার পরের গাড়িতে ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। কনভয়ের শেষে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি।