অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের নতুন সংবিধান নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় বৃহস্পতিবারও জানা গেল না। তিন বিচারপতির বেঞ্চে এদিন শুনানি ছিল। তিন বিচারপতি হলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, সূর্য কান্ত এবং এ এস বোপান্না। এঁদের মধ্যে বিচারপতি চন্দ্রচূড় অসুস্থ থাকায় আদালতে আসেননি। তাই বাকি দুই বিচারপতির সামনে দু পক্ষের আইনজীবীরা সওয়াল করলেও বেঞ্চ কোনও রায় দেননি। আবার সামনের বুধবার অর্থাৎ ৩ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ফেডারেশনের নতুন সংবিধান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তিন সদস্যের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সকে। কমিটিতে আছেন প্রাক্তন বিচারপতি এ আর দাভে, নির্বাচন কমিশনের প্রাক্তন প্রধানএস ওয়াই কুরেশি এবং ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাষ্কর গঙ্গোপাধ্যায়। নতুন সংবিধান তৈরি করে ৩৫টি রাজ্য সংস্থার কাছে তা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সংস্থাগুলির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল তা নিয়ে বেশ কয়েকটি আপত্তি জানায়। এর মধ্যে একটি ছিল ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটিতে পঞ্চাশ শতাংশ সদস্য হবেন প্রাক্তন ফুটবলাররা। ইতিমধ্যে ফিফা এবং এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন জানিয়ে দিয়েছে প্রাক্তন ফুটবলাররা অবশ্যই কার্যকরী কমিটিতে থাকবেন। তবে অনুপাতটা পঞ্চাশ শতাংশ হবে না। হবে পঁচিশ শতাংশ। এর মধ্যে আবার ঢুকে পড়েছে ফুটবল স্পোর্টস ডেভলেপমেন্ট লিমিটেড, যারা ২০১৪ সাল থেকে আই এস এল সংগঠন করছে। ভাষ্কর গঙ্গোপাধ্যায়দের কমিটি আই এস এল-কে গুরুত্ব না দিয়ে আই লিগকেই গুরুত্ব দিতে চেয়েছে। সেটা যাতে না হয় তার জন্য মামলায় নিজেদের যুক্ত করেছে এফ এস ডি এল। তবে আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলে দিয়েছেন, বাণিজ্যিক কাজকর্মের ব্যাপারে তাদের কিছু করণীয় নেই। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ফেডারেশনের নতুন কর্মসমিতিকেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই রকম বেশ কয়েকটি ব্যাপার নিয়ে নতুন সংবিধান আটকে আছে। এখন দেখার তেসরা আগস্টের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়।