নয়াদিল্লি : বুধবার সাম্প্রতিক এক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট। আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের (Prevention of Money Laundering Act) বিধান এবং এই আইনের আওতায় কাউকে গ্রেফতার করা ও তদন্ত করার জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে বেশ কিছু আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। ইতিমধ্যে সেই আবেদনগুলির শুনানি শেষ হয়েছে। এদিন রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর নির্ভর করছে ইডির পরবর্তী তদন্ত প্রক্রিয়া।
আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের অধীনে প্রায় শতাধিক মামলা জমা পড়ে। সেই মামলাগুলিকে একত্রিত করে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়েছিল। মামলাকারীদের যুক্তি ছিল, এই আইনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, জোর করে স্বীকারোক্তি করানোর মতো অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা দিয়েছে। কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে বলেছিল, যদি কোনও ব্যক্তি জ্ঞাতসারে একটি পক্ষ হয়ে যায় বা প্রকৃতপক্ষে অপরাধের আয়ের সঙ্গে যুক্ত কোনও কার্যকলাপে জড়িত থাকে, তবে এই জাতীয় ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে অর্থ পাচারের অপরাধে দোষী।
আরও পড়ুন: ইডির নজরে এবার অর্পিতার বিনোদন সংস্থা, টানা জেরা পার্থ ও বান্ধবীকে
উল্লেখ্য, আর্থিক দুর্নীতি দমন আইন বা প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA) ২০০২ সালে আনা হয়। তা কার্যকর হয় ১ জুলাই ২০০৫ সালে। পরবর্তীকালে ২০১২ সালে ১৭ ডিসেম্বর কিছু সশোধনী আনা হয়। পরের বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি তা থেকে কার্যকর হয়।