মুখের পিগমেন্টশনের জন্য অনেকেই অনেক কিছু করেন কিন্তু ঠোঁটের পিগমেন্টেশন নিয়ে মাথা ঘামান না তেমন কেও। এদিকে দিনের পর দিন এভাবে অবহেলায় যখন শোচনীয় হয়ে ওঠে ঠোঁটের অবস্থা তখন টনক নড়ে। এদিকে ঠোঁটের কালো দাগ ম্লান করে ঠোঁটের সৌন্দর্য। তাই ওপেরর ঠোঁটের পিগমেন্টশন এড়িয়ে না গিয়ে বরং শুরুতেই ব্যবস্থা নিন। বাজার চলতি কড়া রাসায়নিক যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে বাড়িতেই প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে সারুন ঠোঁটের পরিচর্যা।
তবে ঘরোয়া পরিচর্যার আগে অবশ্যই জানতে হবে ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়া বা পিগমেন্টশনের কারণ। একাধিক কারণে এই সমস্যা হয়। জলের অভাব, ধুমপান, মাত্রাতিরিক্ত কফি ও চা পান, রোদে পোড়া কিংবা কোনও শারীরিক সমস্যার কারণেও ঠোঁটের রঙ কালো হয়ে যেতে পারে। তাই ঠোঁটের রঙ যাতে কালো না হয় এই কাজগুলো এড়িয়ে চলুন যেমন-
লিপস্টিক ব্যবহারে এই বিষয় মেনে চলুন
যদি আপনি রোজ লিপস্টিকের ব্যবহার করেন তা হলে খেয়ার রাখতে হবে যে লিপস্টিক যেন ন্যাচারাল বা ব্র্যন্ডেড প্রোডাক্ট হয়। তবে ঘন ঘন লিপস্টিকের ব্যবহার না করাই ভাল। আর ব্যবহারের পর অবশ্যই ভাল করে ঠোঁট পরিষ্কার করুন। ঠোঁটের চামড়ার ভাঁজে যেন লিপস্টিক জমে না থাকে।
প্রচুর পরিমাণে জল খান
জল কম খেলে শুধু যে শরীরের ক্ষতি তা নয়। প্রভাবে পড় ত্বকের ওপরও। জলের অভাবে ঠোঁট শুকিয়ে যায় এমনকি বদলে যায় ঠোঁটের রঙ।
মৃত কোষ পরিষ্কার করুন
ঠোঁটের চামড়ার ওপর মৃত কোষের আস্তরণের কারণেও নষ্ট হয় ঠোঁটের রঙ। তাই নিয়মিত ঠোঁটের স্ক্রাবিং করতে হবে। স্ক্রাবিংয়ের ফলে রোদে পোড়া ত্বক ও মৃত কোষের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে। বেড়িয়ে আসবে ঠোঁটের আসল রঙ।
কীভাবে করবেন স্ক্রাবিং
ঠোঁটের মৃত কোষ তুলতে পাতিলেবু, মধু ও চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণ তৈরি করতে প্রয়োজন, আধ চামচ পাতিলেবুর রস, ১ চামচ মধু ও আর এক চামচ চিনি। এবার এই মিশ্রণ আঙুলে নিয়ে ঠোঁটের ওপর লাগান এবং হালকা হাতে ডলে নিন। এইভাবে এক থেকে দু’মিনিট ঠোঁটে স্ক্রাব করে জল দিয়ে ঠোঁটে ধুয়ে নিন।
স্ক্রাব করার পর অবশ্যই ঠোঁট ময়শ্চারাইজ করুন। এর জন্য কোনও ন্যাচারাল লিপ বাম, নারকেল তেল কিংবা আমন্ড অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।
ঠোঁটের ন্যাচারাল কালার ফেরাতে
ঠোঁটের ন্যাচারাল রঙ ফুটিয়ে তুলতে বিট ব্যবহার করতে পারেন। একটি পাত্রে এক চামচ বিটের রস নিয়ে নিন। এবার এতে সামান্য দুধে সর মিশিয়ে নিন। প্রত্যেক রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই মিশ্রণ অবশ্যই ঠোঁটে লাগিয়ে নিন।
গোলাপ জল ও গ্লিসারিন
ঠোঁটের লাবণ্য ও নিজস্ব আভা ফিরিয়ে আনতে গ্লিসারিন ও গোলাপজলের জবাব নেই। এই জন্য একটি পাত্রে যত মাত্রায় গোলাপজল নেবেন তার ঠিক অর্ধেক মাত্রা গ্লিসারিন নিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ ঘুমোতে যাওয়ার আগে প্রত্যেকদিন রাতে এটি ব্যবহার করুন। দেখবেন ঠোঁটের পিগমেন্টেশন আগের থেকে অনেকটা কমে গেছ।
কাঁচা দুধ ও দুধের সর ব্যবহার করতে পারেন
ঠোঁটের কালো দাগ পরিষ্কার করতে কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার করে নিন। ঠোঁট যদি শুষ্ক হয় তা হলে নিয়মিত দুধে সর ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। এই দু’টোর কোনও একটি কাজ দিনে অন্তত একবার করলে উপকার পাবেন।