আইএসএলে লাল হলুদের চিফ কোচ হলেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। ক্লাব কোচিং এ খুব একটা অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু দেশের জাতীয় দলের হেড কোচ ছিলেন দুই দফায়। সেই সময় দেশের ইয়ুথ প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফলে দেশের গ্রাসরুট লেভেলের ফুটবল সম্পর্কে তাঁর একটা ধারণা আছে।
এখন দেখার কেমন দল তিনি পাবেন।
ইমামি-ইস্টবেঙ্গল চুক্তি পর্ব এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ক্লাব সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, এই সপ্তাহের মাঝামাঝি সরকারিভাবে সই পর্বটি সারা হয়ে যাবে।
এরমধ্যে ক্লাবের নয়া স্পনসর ইমামি একটি এজেন্সিকে দিয়ে দল গড়তে নেমে পড়েছে। কোচ বাছাই পর্ব শেষ হয়ে গেল। সম্ভবত আগামী সপ্তাহে অনুশীলনে নেমে পড়ার পরিকল্পনা ও আছে । ডুরান্ড কাপ আর কলকাতা লীগের জন্য দায়িত্ব নিয়েছেন বিনু জর্জ। ইতিমধ্যেই তিনি কেরালার বেশ কয়েকজন ফুটবলারের সাথে কথা বলে একটি তালিকা ক্লাব কর্তাদের মারফত সেই এজেন্সির হাতে পৌছে দিয়েছেন। বিনো জর্জ এর আগে কলকাতা ফুটবলে ইউনাইটেড স্পোর্টস এর দায়িত্ব সামলে গেছেন। আই লিগে কেরালার বাইরে তাঁর কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা কম।
হেড কোচ হয়ে এই দলের সঙ্গে প্রাক্তন কোচ কনস্ট্যানটাইন যোগ দেওয়ায়, জর্জ দলটিকে দুটি টুর্নামেন্ট খেলিয়ে আইএসএলে একযোগে কাজ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কিছুটা বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন।
একটা সংশয় থেকেই যাচ্ছে, স্টিফেন কোচ হয়ে আইএসএল এতো হাই প্রোফাইল কোচ দের ভিড় এ নিজেকে কিভাবে প্রমাণ করবেন। যদিও তিনি পেশাদার কোচ। ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সমর্থকদের প্রত্যাশা থাকবে আকাশ ছোঁয়া। সেই চাপ কেমনভাবে নেন – তাই দেখার।
ছবি: সৌ ফেসবুক।