কলকাতা: বিধায়ককে গ্রেফতার করা হলে বিধানসভার অধ্যক্ষকে জানানোটাই রীতি। এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। ওরা না জানালে এটা ওদের সাংবিধানিক ব্যর্থতা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। তদন্ত এখনও চলছে। পরিষদীয় কাজকর্মের ক্ষেত্রে কিছুটা অসুবিধা হবে। মন্ত্রিসভা এ নিয়ে নিশ্চিতভাবেই আলোচনা করবে।
তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় পার্থর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি তদন্তসাপেক্ষ বিষয়। ইডি আধিকারিকরাই বলতে পারবেন কোন ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। নিশ্চয় তাঁরা জানাবেন। গত দেড়-দু’দশকে অনেক বড় বড় কেলেঙ্কারি ঘটেছে। বহু কেলেঙ্কার ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। আশা করব তদন্তে সত্য উদঘাটিত হবে। টানা ২৭ ঘণ্টা জেরার পর শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
শুক্রবার শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এদিন প্রায় ১৪টি জায়গায় ৮০-৯০ জন ইডির আধিকারিকরা অভিযান চালান। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টচার্য এবং পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকেও।
জুনের শেষ থেকেই এসএসসির দুর্নীতি মামলায় আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তদন্তের গতি বাড়িয়েছে ইডি। সম্প্রতি ৬০ জন প্রাথমিক শিক্ষককে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে ইডি। অভিযোগ, ওই সব শিক্ষকদের নিয়োগ করা হলেও তাঁদের কোনও ওএমআর শিট ছিল না। ইতিমধ্যেই লেনদেনের কিছু নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডি। বাগদা-রঞ্জন কাণ্ডেও একাধিক সূত্র মিলেছে। সেই তদন্তের অগ্রগতির জন্যই ওই শিক্ষকদের তলব করেছিল ইডি।